সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১১ পূর্বাহ্ন
কোহিনুর প্রীতি, বিশেষ প্রতিনিধি: আজ ১১ ডিসেম্বর কুমিল্লার লাকসাম হানাদার মুক্ত দিবস। পাকবাহিনীর কবল থেকে এ দিনে স্বাধীনতাকামী মুক্তিবাহিনী লাকসামকে হানাদার মুক্ত করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকায় থ্রী-এ সিগারেট ফ্যাক্টরীতে পাকবাহিনী বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রায় ১০ হাজার নিরীহ নারী পুরুষকে ধরে এনে নির্বিচারে হত্যা করে রেলওয়ে জংশনের দক্ষিণ পাশ্বে বেলতলী নামক স্থানে গর্ত করে তাঁদের পুঁতে রাখে। ওই বেলতলী বধ্যভূমি এখন কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এখানে মাটি খুঁড়লেই মিলে হাজার হাজার হাড় কঙ্কাল। সেই দুর্বিষহ নির্মমতা আর নির্যাতনের কথা ভুলতে পারেনি কেউ।
এদিকে, যুদ্ধকালীন পাকবাহিনীকে প্রতিরোধ করতে লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকায় চারটি সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়। এ বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন সুবেদার আবদুল জলিল, ক্যাপ্টেন মাহবুব, ব্রিগেডিয়ার দিদারুল আলম, মেজর এনাম আহমেদ, ফ্লাইট সার্জন ছিদ্দিকুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে লাকসামের আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম গ্রামে ২জন, হাসনাবাদে ২২জন, গৈয়ারভাঙ্গায় ৪জন, খিলা রেলওয়ে ষ্টেশনে ২ ছাত্র, মিশ্রিতে আবদুল খালেক, কামড্ডায় আবুল খায়ের, মোস্তফা কামাল, সোলাইমানসহ বহু মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। অবশেষে সম্মুখ যুদ্ধে পাকবাহিনী পরাজিত হয়ে পিছু হটলে ১১ ডিসেম্বর লাকসাম হানাদার মুক্ত হয়। এ উপলক্ষে আজ উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বেলতলী বধ্যভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।