শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
শফিকুল ইসলাম রুম্মন, নিজস্ব প্রতিবেদক: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঈদে মার্কেট ও শপিংমলগুলো জমে উঠেছে । বুধবার শহরের মার্কেট-ফুটপাত ও শপিংমলগুলো ঘুরে দেখা যায়, শেষ সময়ে কেনাকাটার জন্য মার্কেটগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে মার্কেটগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব ও বিধিনিষেধ। আর মানুষের উপস্থিতি দেখে বোঝার উপায় নেই যে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে।
মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে সরকার করোনা সংক্রমণ রোধে ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই গত ২৫ এপ্রিল থেকে শপিংমল ও দোকানপাটগুলো খুলে দেয়া হয়। এরপর থেকেই শ্রীমঙ্গলের শপিংমল, মার্কেট ও ফুটপাতগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
শহরের স্টেশন রোডের শাপলা সুপার মার্কেট, মিতালী ম্যানশন, খাতুন ম্যানশন, নিউ মার্কেট, সাইফুর রহমান মার্কেট, শপিংমল এমবি ক্লথ স্টোর, বিলাস শপিং কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটগুলোতে সপরিবারে ভিড় করছে কেউ কেউ। থাকছেন বহুক্ষণ। আর নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাত। সেখানেও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। অনেকের মুখে নেই মাস্ক। রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকানে যে যেভাবে পারছেন কিনছেন সাধ্যমতো ঈদের কাপড় চোপড়। একজন অন্য জনের সঙ্গে শরীর ঘেঁষে কেনাকাটা করছেন। আর শপিংমলগুলোতে যেন কেনাকাটার হিড়িক চলছে। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে মার্কেট করছেন তারা। প্রতিটি দোকানে রয়েছে ভিড়।
স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, লকডাউনের মধ্যে যেভাবে মার্কেট, বিপণি বিতানে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে তাতে করোনার সংক্রমণ আরো ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ মার্কেট কিংবা সড়কপথের কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো মুহূর্তে আরেকটি করোনার ঢেউ দেখা দিতে পারে।
ঈদের কাপড় কিনতে এসেছেন সিন্দুরখান ইউনিয়নের রিংকু মিয়া, তিনি বলেন, মার্কেটে এসে বোঝার উপায় নেই যে, দেশে করোনা নামে কিছু আছে। মাস্ক পরে থাকলেও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। সবাই গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে কেনাকাটা করছেন। কেউ কাউকে বাধা দিচ্ছে না। আর ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারলেই খুশি। ফুটপাতে বেড়েছে বিক্রি। সকাল ১১টা থেকে অনেকাংশে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় হাঁটার মতো পরিস্থিতিও নেই। প্রতিটি দোকানে ক্রেতা সমাগম অহরহ। স্বাস্থ্যবিধি নড়বড়ে। মাস্ক ছাড়াও কেনাকাটা করছেন অনেকে। ঘুরছেন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে।
ঈদের কেনাকাটা করতে ভৈরববাজার থেকে আসছেন শওকত মিয়া। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানাবে কে? এটা কার দায়িত্ব? কারণ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না ৷
অপরদিকে শহরের হবিগঞ্জ রোড, মৌলভীবাজার রোড, স্টেশন রোডের রাস্তায় জানযট দেখে বুজার উপায় নাই যে দেশে গণপরিবহন বন্ধ ৷ দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে ৷ ব্যবসায়ী খোকন বলেন, এবার বেচাবিকি ভালই হয়েছে, আরো ভালো বিক্রি করতে পারতাম, যদি ঢাকা থেকে আরো মাল আনতে পারতাম ৷