শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে হামাস বর্তমান সংঘাতের সূচনা করেছে বলে দাবি করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যতদিন প্রয়োজন গাজায় হামলা অব্যহত থাকবে। তবে এতে হতাহত যতটা কমানো যায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার নেতানিয়াহু বলেন, এই সংঘাতের জন্য অপরাধবোধে ভোগার কথা তাদের, যারা আমাদের ওপর হামলার মাধ্যমে এটি শুরু করেছে, আমাদের নয়। অভিযানের মাঝামাঝি পর্যায়ে আছি আমরা, এটা শেষ হয়নি। যতদিন প্রয়োজন অভিযান অব্যহত থাকবে।
নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের পর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মাত্রা বেড়েছে। গাজায় হামাসপ্রধানের বাড়িতে বোমা মেরে তা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার সকালেও ইসরায়েলি হামলায় গাজায় তিনজন নিহত হয়েছে।
গাজা থেকে হামাস ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে রকেট হামলা চালানোয় লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়।
টেলিভিশন বক্তৃতায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামাস ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। পক্ষান্তরে আমরা সাধারণ মানুষের মৃত্যু এড়াতে বা কমাতে যা যা করা দরকার সব করছি। শুধু সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হচ্ছে।
এদিকে সাম্প্রতিক এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল শনিবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে আজ রোববার জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৫৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪১টি শিশু রয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলে দুই শিশুসহ ১০ জন নিহতের কথা জানা গেছে।
সম্প্রতি ইসরায়েল ফিলিস্তিনের জেরুসালেমে আল জাররাহ এলাকা দখল করে নিতে চায়। এ নিয়ে সেখানকার বাসিন্দা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেমে থেমে উত্তেজনা চলে আসছিল। গত ৭ মে পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমা অর্থাৎ জুমাতুল বিদা আদায় করতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি আল-আকসা মসজিদে সমবেত হলে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর চড়াও হয়। মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী।
এর দুদিন পর শবে কদরেও আল-আকাসা মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে গত সোমবার (১০ মে) সেখানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।