শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: দেশেই করোনার টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে চীনের সিনোফার্মের টিকা উৎপাদন করতে অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ মাসেই কোম্পানিটি টিকা উৎপাদন শুরু করবে।
রোববার (১৬ মে) বিকেলে সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়টি জানিয়েছে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, “উৎপাদনে সক্ষমতা আছে এমন ৩-৪টি কোম্পানি আমাদের কাছে আবেদন করেছিল। আমরা বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় দেখে ইনসেপ্টাকে টিকা উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছি। এ মাসেই তারা কাজ শুরু করবে।”
এ ব্যাপারে সোমবার (১৭ মে) বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ইনসেপ্টার পক্ষ থেকে বলা হয়, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো অনুমোদনের বিষয়টি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের থেকে জানানো হয়নি। গণমাধ্যম সূত্রে তারা জানতে পেরেছেন যে, টিকা উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছেন।
উৎপাদন সক্ষমতা প্রসঙ্গে কোম্পানিটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, “প্রতি মাসে আমাদের চার কোটি ডোজ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে।”
এর আগে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর জানিয়েছিল, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে টিকা উৎপাদনে অনুমতি দেওয়া যায় কি না তা প্রাথমিক সক্ষমতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিকা সংগ্রহ ও বিতরণবিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কমিটি। এছাড়া রেনেটা এবং ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস রাশিয়ার টিকা উৎপাদনের অনুমতি চেয়ে ঔষধ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে।
২৮ এপ্রিল চীনের করোনা ভাইরাসের টিকা সিনোফার্মের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ওই দিন অধিদপ্তরের এক সভা শেষে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছে চীন। গত বুধবার (১২ মে) ভোরে বিমান বাহিনীর (এস-৩এজিএফ) ফ্লাইটে টিকাগুলো হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে।
গত দুই মাসে দেশে টিকার কোনো চালান আসেনি। কবে নাগাদ টিকার চালান আসতে পারে, তা কেউ বলতে পারছে না। চুক্তির পর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে এ পর্যন্ত দুটি চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশ পেয়েছে গত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে। এছাড়া ভারত সরকার উপহার হিসেবে দিয়েছে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা আনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গত বছরের ৫ নভেম্বর যে চুক্তি হয়েছিল তাতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ৩ কোটি ডোজ টিকা রপ্তানি করবে এবং সে অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকা পাচ্ছে না। অথচ টিকা দেবে বলে অগ্রিম দেড় কোটি ডোজ টিকার মূল্য বাবদ ৫১০ কোটি টাকা আগেই নিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট।