শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

সবুজ ভবিষ্যৎ গড়তে পিফোরজিকে প্রধানমন্ত্রীর ৩ পরামর্শ

তরফ নিউজ ডেস্ক: বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই ডেভেলপমেন্ট লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে শুরু হওয়া উদ্যোগ ‘পার্টনারিং ফর গ্রিন গ্রোথ অ্যান্ড দ্য গ্লোবাল গোলস-২০৩০’ (পিফোরজি)-কে সবুজ ভবিষ্যত গড়তে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য পিফোরজি’কে তিনটি পরামর্শ দেন তিনি।

রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত পিফোরজির দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব পরামর্শ দেন।

২০১৭ সালে পিফোরজি বৈশ্বিক উদ্যোগটি শুরু হয়। এ বছর ‘ইনক্লুসিভ গ্রিন রিকভারি টুওয়ার্ডস কার্বন নিউট্রালিটি’ প্রতিপাদ্যে সিউলে সম্মেলনের আয়োজন করে তারা। এতে সদস্য দেশ বাংলাদেশ ছাড়াও চিলি, কলম্বিয়া, ডেনমার্ক, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, রিপাবলিক অব কোরিয়া, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভিয়েতনাম অংশ নেয়।

এছাড়া পিফোরজি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত ডব্লিউআরআই, ডব্লিউএএফ, আইএফসি, জিজিজিআই ও সি৪০ নামের সংগঠনও এতে অংশ নেয়।

সম্মেলনে পিফোরজিকে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শগুলো হলো-

১. সবুজ প্রবৃদ্ধি ও ২০৩০ বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমাজের সামগ্রিক পদ্ধতির পাশাপাশি একটি বৈশ্বিক মনোভাব প্রয়োজন।

২. পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ‘সবুজ ভবিষ্যত’ গড়তে পিফোরজি শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতাদের আরও নিবিড়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

এ সময় জলবায়ুর পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের স্থানীয়ভাবে অভিযোজন কার্যক্রম বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রথম স্বল্পোন্নত দেশ যারা নিজস্ব সম্পদ দিয়ে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থায় আমরা প্রতি বছর ৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিফোরজির সদস্য দেশ বাংলাদেশ ‘স্বল্প কার্বন উন্নয়ন পন্থা’ অনুসরণ করছে। আমাদের ন্যাশনাল সোলার এনার্জি অ্যাকশন প্ল্যান ২০২১-৪১ অনুমান করছে ২০৪১ সালে আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ৪০ গিগা ওয়াটে দাঁড়াবে।

এ সময় বিশ্বনেতাদের তিনি জানান, পানি বাংলাদেশের অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। পানির যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণে বাংলাদেশ একশ বছর মেয়াদি টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘ডেল্টা প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করছে।

৩. পিফোরজির পাঁচটি মূল ক্ষেত্র- খাদ্য, পানি, জ্বালানি, শহর ও সার্কুলার অর্থনীতিতে আরও বেশি ফিন্যান্সিয়র, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক ও সৃজনশীল উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করতে এর কর্মভিত্তিক পদ্ধতির বিষয়ে আরও বেশি প্রচারণা চালানো এবং সেরা অনুশীলনগুলো বিনিময় করা প্রয়োজন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com