রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারে সোমবার (১৫ এপ্রিল) অংশ নিয়ে জটিলতায় জড়ালেন বাংলাদেশের নায়ক, মডেল ফেরদৌস।
জানা যায়, মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙার অভিযোগে তার ভিসা বাতিল করা হয়েছে। তাকে দেশে ফিরে যেতে বলেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জে কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে একটি রোডশো করেন ফেরদৌস। সঙ্গে ছিলেন টলিউডের নায়ক অঙ্কুশ ও নায়িকা পায়েল। শুধু রোডশো করেননি, তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানান এই বাংলাদেশি তারকা।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঘটনার পরেই ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙার অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। টলিউড, বলিউড অভিনেতাদের নির্বাচনী প্রচার নতুন নয়, কিন্তু এর আগে ভারতে কোনো বিদেশি অভিনেতাকে এনে নির্বাচনী প্রচার হয়েছে বলে শোনা যায়নি। প্রচারের আগেই এই ইস্যুটি নিয়ে কটাক্ষ করেছিল বিরোধীরা। প্রচারপর্বের পরেই বিজেপির তরফে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশন জানতে চেয়েছে কি ধরনের ভিসা নিয়ে ফেরদৌস ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
বিজেপি নেতা প্রতাপ ব্যানার্জি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ ধরনের প্রচার বেআইনি। তিনি কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব কিছুই সীমান্তের ওপার থেকে আসে।
তিনি এনআরসি প্রসঙ্গে টেনে এনে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসির বিরোধিতা করেন, কিন্তু সীমান্তের ওপার থেকে লোকদের আসায় তার কোনো আপত্তি নেই।
বিজেপির ইঙ্গিত, রায়গঞ্জের সংখ্যালঘু ভোটারদের প্রভাবিত করতেই বাংলাদেশি নায়ককে প্রচারে এনেছে তৃণমূল।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, কীভাবে একজন বিদেশি ভারতের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করেন? তিনি মন্তব্য করেন, আগামীকাল হয়তো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও নির্বাচনী প্রচারে আমন্ত্রণ জানাতে পারে কেউ কেউ।
পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয় বর্গী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা করে দিয়েছেন আর এখন তিনি বাংলাদেশি শিল্পীদের দিয়ে প্রচার করাচ্ছেন।
এরআগে বিষয়টির আইনি দিক সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তৃণমূলের স্থানীয় স্তরের নেতারা জানিয়েছিলেন কোনো তারকা প্রচারে আসবেন বা আসবেন না সেটা ঠিক হয় রাজ্যস্তর থেকেই। তবে তারা বলেছিলেন, ফেরদৌস বাংলাদেশের নায়ক হলেও দুই বাংলার মানুষের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়।
ফলে প্রতিদিনের রাজনৈতিক কচকচানি দূরে সরিয়ে ফেরদৌসের রোডশো ভোট প্রচারে একটা ভিন্ন স্বাদ এনে দেবে বলেই এ কাজ করেছিল।
কিন্তু তাদের এ কাজে পানি ঢেলে দিয়েছে ভারতের মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট। ফেরদৌসের এ ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যথেষ্ট আলোড়ন তুলেছে।
তথ্য সূত্র : বাংলানিউজ২৪