বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা : পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা সকাল সন্ধ্যা ধর্মঘটে মৌলভীবাজারে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থী, পরীক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও কর্মজীবীসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
গত ২৩শে মার্চ বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মৌলভীবাজারের শেরপুর এলাকায় সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ঘোরী মো. ওয়াসিম আব্বাসকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় বাসের সহকারি। এতে চাকায় পিষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চালক জুয়েল ও সহকারি মাসুককে গ্রেপ্তার করে।
এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদসহ তাদেরকে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ৩০২ ধারা বাতিল, সড়ক পরিবহনের আইনের কয়েকটি ধারার সংশোধন, এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় রিকুজিশন না করা, রিকুজিশনকালীন সময়ে শ্রমিকদের খোরাকি ও ফুয়েল প্রদান করা, সড়ক চেকিংয়ের নামে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে পুলিশি হয়রানী বন্ধ করা, রাতে ট্রাক চেকিং বন্ধ করা, একাধিক স্থানে গাড়ি চেকিং না করে জেলার নির্দিষ্ট কোন স্থানে গাড়ি চেকিং করা, রেজিষ্ট্রেশনবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশা বন্ধ করা, রেকারিং এর নামে পুলিশ চাঁদাবাজি বন্ধ করা, সড়ক ও মহাসড়কে বিভিন্ন সেতুতে টোল আদায় বন্ধ করাসহ ৭ দফা দাবিতে মৌলভীবাজারসহ সিলেট বিভাগে আজ সকাল-সন্ধ্যা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
এদিকে এই ধর্মঘটের ফলে মৌলভীবাজার জেলার সঙ্গে সবকটি উপজেলার যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে। শহরের চাঁদনীঘাট, কুসুমবাগ, শমসেরনগর সড়ক ও ঢাকা-সিলেট বাসস্ট্যান্ডে সিএনজি, ট্রাক ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে এ পর্যন্ত জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান, শিক্ষার্থী ওয়াসীম হত্যা মামলার এজাহারে ৩০২ ধারা যুক্ত করা নিয়ে তাদের আপত্তি, ৩০২ -এর পরিবর্তে ৩০৪ যুক্ত করার দাবি তাদের। এই ধারা বাতিল, পুলিশী হয়রানি বন্ধসহ ৭ দফা দাবিতে তারা এ ধর্মঘট পালন করছেন।