বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৫ অপরাহ্ন

পাপিয়া সহ অন্যান্য নেত্রীর সঙ্গে তোলা ছবি দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায় জিডি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : নরসিংদী যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক আলোচিত শামীমা নূর পাপিয়া ও অন্যান্য নেত্রীবৃন্দের সাথে গনভবনে তোলা ছবি দিয়ে আমার নামে ও আমার পরিবারের নামে গত ২ দিনে দুইটি মিথ্যা সংবাদ “দৈনিক সকালের সময়” সহ কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল ও প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, শিরোনাম গুলো হচ্ছে “পাপিয়ার আরো এক ভয়ংকর সহযোগী স্মৃতি এখন চট্টগ্রামের কারা পরিদশক” এবং “পাপিয়ার পাপ কাজের সহযোগী চট্টগ্রামের মহিলা নেত্রী স্মৃতি”

প্রকাশিত সংবাদ দুটি সম্পূর্ণ ভীত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার আগে আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি বলেছি,

“প্রকাশিত সংবাদের ছবি গুলো গত বছর ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ পূর্বক প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত এর সময় অন্যদের সাথে গনভবনে ছবিটি তোলা হয়েছিল। ব্যক্তিগত ভাবে পাপিয়াকে আমি চিনি না, তার সাথে আমার কোন যোগাযোগ ও ব্যক্তিগত কোন ছবি নাই।

সেদিন সবার অনুরোধে আমি গনভবনে সেলফিটি তুলি যা পরে প্রাক্তন সংসদ সদস্য- ‘সাবিনা আক্তার তুহিন’ ছবিটি ওনার ব্যক্তিগত ফেইসবুক পেইজ-এ আপলেড করেন। একটি অনুষ্ঠানে গেলে বিভিন্ন মানুয়ের সাথে দেখা হয়, কথা হয় পরিচিত অনেকেই ছবি তুলে আমিও তুলি, এটি খুব সাধারন একটি ব্যাপার”

আমার এই বক্তব্য নেয়ার পরও আমার বক্তব্যের কোন লাইন প্রকাশ না করে, আমাকে হয়রানি ও আমার মান হানি করার জন্য তারা নিজে থেকে মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। আমাকে দেশবাসীর কাছে ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সামনে ভূলভাবে উপস্থাপন এবং পরিবারের সম্মান নষ্ট করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।

গত শনিবার (৭ মার্চ-২০২০ ) চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানায় সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেছি। জিডি নং ২৯৭। জিডিতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশকারীর নাম নজরুল ইসলাম ও তার প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় প্রকাশ করেছি। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চেয়েছি।


২০১১ সাল থেকে আমি আওয়ামী রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত। যুব মহিলা লীগ চট্টগ্রাম মহানগর এর শুরু থেকে আমি যুগ্ম আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। ওমেন চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক, সফল নারী উদ্দোক্তা ও সম্প্রতি কারা পরিদর্শকের দায়িত্ব পেয়েছি। স্বক্রিয়তা আর আদর্শ এবং কর্তব্যপালনে কথনো পিছুপা হইনি। র্দীঘ ৯ বছর ধরে আমি রাজপথে ছিলাম এবং ভবিষ্যতে থাকবো। আমার জন্য কোন নেতা ফোন করে আমাকে পদ দিতে বলেনি। আমি রাজপথের কর্মী, আমার কাজই আমাকে পদ দিয়েছে। আমি হাসিনা মহিউদ্দীন আন্টিকে মায়ের মত সম্মান করি তাছাড়া আমি সম্মান নিয়ে চলতে পছন্দ করি। আমি কখনও কারো কাছ থেকে অনৈতিক কোন সুবিধা আদায় করিনি।

আমার স্বামী মোঃ বেলাল হোসেন কখনো বিপথগামী বা ভিন্নমতাদর্শের ছিনেল না। উনার পৈতৃক বাড়িটিতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়স্থল ছিল। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি- মাহতাব উদ্দীন বর্ননা করতে পারবেন।

পরিশেষে বিনয়ের সাথে সাংবাদিক ভাই-বোন দের বলছি, আমাকে অপমানিত করার জন্য পাপিয়া সংশ্লিষ্ট কোন মিথ্যা সংবাদ কারো দৃষ্টিগোচর হলে তা মুছে ফেলার আহবান করছি।

মোস্তারী মোরশেদ স্মৃতি
(যুগ্ন আহব্বায়ক, আওয়ামী মহিলা যুবলীগ, চট্টগ্রাম মহানগর)

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com