বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

এ পরিশ্রম বৃথা যেতে পারে না

…….দিদার এলাহী সাজু…….

একজন সরকারি নারী কর্মকর্তার অমানবিকতা নিয়ে দেশ যখন ধিক্কারের বন্যায় ভাসছে, ঠিক তখনি মানবিকতার অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন অপর এক নারী কর্মকর্তা। প্রমাণ করলেন বিশাল কর্মযজ্ঞ নয়, মানুষের হৃদয় সিংহাসন জয় করার জন্য “একটুখানি পরিশ্রমই যথেষ্ট।”

বলছি, বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদারের কথা। চলমান ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের কবলে মানুষের জীবন-যাত্রা যখন বিপর্যস্ত, তখন নিজেকে উজাড় করে লড়ছেন তিনি। নাওয়া -খাওয়া ভূলে মানবতার টানে দিনরাত চষে বেড়াচ্ছেন “গ্রাম থেকে গ্রাম।”

সীমিত সাধ্যের মধ্যে সরকারি দায়িত্ব পালনে করছেন আপ্রাণ চেষ্টা। কখনও হাজির হচ্ছেন সচেতনতার বার্তা নিয়ে, কখনও মমতাময়ী হাতে দিচ্ছেন শান্তনা, যোগাচ্ছেন সাহস। আবার কখনো কঠোর হাতে দমন করছেন দুষ্টচক্র। কখনও-বা অভাবী মানুষের দুয়ারে হাজির হচ্ছেন সাহায্যের ঝুঁলি নিয়ে।

এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ছুটে যান উপজেলার অপেক্ষাকৃত “অবহেলিত ও দূর্গমজনপদ” মিরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে।

এর পূর্বে ওই ওয়ার্ডের ফদ্রখলা গ্রামের ৪জন অভাবী দিনমজুরের তথ্য দিয়েছিলাম আমি। কিন্তু সেখানকার রাস্তা গাড়ী চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না সেখানে যাবেন তিনি।

তবে ধারণা ভূল প্রমাণ করে আমার দেয়া লোকেশন অনুযায়ী যথাসময়ে হাজির হলেন। গাড়ী রেখে প্রায় ১কিলোমিটার আকাঁ-বাকা মেঠোপথ পায়ে হেঁটে পৌছলেন যথাস্থানে। প্রতিটি অভাবী মানুষের কুঁড়েঘরে গিয়ে নিজ হাতে তুলে দিলেন সরকারি কিছু সাহায্য।

আমি লক্ষ্য করেছি তার এ পরিশ্রমে নূন্যতম কোন কৃত্রিমতা ছিলনা। বরং ছিল মানবিকতার “অপূর্ব নমুনা”। এ সময় রাস্তার দু’পাশে নিজ নিজ বাড়ি-ঘরে দাঁড়িয়ে বিষয়টি অবলোকন করছিল শত-শত নারী-পুরুষ। তাদের চোঁখ-মুখ আর নিঃশ্বাস থেকে যেন বেরোচ্ছিল নির্মল আশির্বাদ। মহান স্রষ্টা এ আশির্বাদ মঞ্জুর না করে কি পারেন? অন্তত এ পরিশ্রম বৃথা যেতে পারে না।
স্যালুট স্যার আপনাকে।

লেখক-সাংবাদিক।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com