রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
তরফ স্পোর্টস ডেস্ক : পাওয়ার প্লেতে ঢাকার রান ২৪, বরিশালের ৩৩। ১০ ওভার শেষে ঢাকা ৫৪, বরিশাল ৫১। ১৪ ওভার শেষে ঢাকা ৪ উইকেটে ৮৪, বরিশাল ৩ উইকেটে ৮৭। তখনও পর্যন্ত যেন ‘কেউ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান।’ কিন্তু দুই দলের পথ দুদিকে বেঁকে গেল ইনিংসের শেষ ধাপে। জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে গেল ঢাকা। ছিটকে গেল বরিশাল।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৯ রানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে রইল বেক্সিমকো ঢাকা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুরুর বিপর্যয়ের পর ঢাকাকে উদ্ধার করে ইয়াসির আলি চৌধুরির ফিফটি। ২০ ওভারে পায় তারা ১৫০ রানের পুঁজি। আফিফ হোসেনের ঝড়ো ফিফটির পরও বরিশাল থমকে যায় ১৪১ রানে।
চলতি আসরে বেশ কবারই ঢাকাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা ইয়াসির এবার খেলেন ৪৩ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। ম্যাচের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ছিল মুশফিকের ৩০ বলে ৪৩ রানের ইনিংসটিও।
তবে মুশফিক ম্যাচে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ফিল্ডিংয়ের সময় তার আচরণ দিয়েও। কয়েকবার মাঠে মেজাজ হারাতে দেখা গেছে তাকে। দুইবার সতীর্থ নাসুম আহমেদের গায়ে হাত তুলতেও উদ্যত হন তিনি।
ম্যাচের শুরুটা বরিশালের ছিল দারুণ। টস জিতে বোলিংয়ে নেমে তারা চেপে ধরে ঢাকাকে। তাসকিন আহমেদ প্রথম ওভারে দেন ২ রান। পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লফটেড শটে বাউন্ডারির পর স্লগ করতে গিয়ে উইকেট হারান মোহাম্মদ নাঈম শেখ। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এবার করেন ১১ বলে ৫।
তিনে নামা আল আমিন শূন্য রানে বিদায় নেন তাসকিনের বাইরের বল তাড়া করে। সোহরাওয়ার্দী শুভকে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে শেষ হয় সাব্বির রহমানের অস্বস্তিময় ইনিংস (১৪ বলে ৮)।
পাওয়ার প্লে শেষে ঢাকার রান ছিল ৩ উইকেটে ২৪।
ঢাকার বিপদ আরও ঘনীভূত হতে পারত একটু পর। মিরাজের বল ওয়াইড লং অফে তুলে দেন মুশফিক, হাত ছুঁইয়েও তালুবন্দী করতে পারেননি সুমন খান।
১৪ রানে জীবন পেয়ে মুশফিক বাড়ান রানের গতি। ইয়াসির আলি তাকে দিয়ে যান সঙ্গ।
অতি আগ্রাসী হতে গিয়েই উইকেট বিলিয়ে আসেন মুশফিক। কামরুল ইসলাম রাব্বিকে স্কুপ করে বাউন্ডারি মারার পরের বলেই দৃষ্টিকটু স্লগ শটে ধরা পড়েন কামরুলের হাতেই।