বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক:মেসেজিং মানেই হয়ে উঠেছিলো হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু হঠাৎ এমন এক ঘটনা ঘটলো, যাতে হোয়াটসঅ্যাপের একক রাজত্বে হানা দিলো অন্তত তিনটি অ্যাপ, এবং এরই ফাঁকে বাংলাদেশে মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে এক নম্বরে উঠে গেলো তুরস্কের তৈরি বিপ।
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ তাদের প্রাইভেসি পলিসি পরিবর্তন করেছে। নতুন পলিসি অনুসারে তারা একজন ব্যবহারকারির কিছু তথ্য তাদের মূল প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের সাথে শেয়ার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বলেছিলো তারা ফেসবুকের সাথে ব্যবহারকারিদের কিছু ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবে এবং প্রতিটি ব্যবহারকারিকে এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিতে হবে। যদি কেউ এতে সম্মতি দিতে রাজি না হন তাহলে তারা আর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না।
হোয়াটসঅ্যাপের এই ধরনের বলপূর্বক সিদ্ধান্তকে সহজভাবে নেননি পৃথিবীর বহু ব্যবহারকারি। তারা তাই হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে অন্য অ্যাপ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর এতে কপাল খুলেছে বিপসহ আরো অন্তত দুটি অ্যাপের- সিগন্যাল ও টেলিগ্রাম। সিগন্যাল তো এতো বেশি গ্রাহক পেয়েছে যে অতিরিক্ত গ্রাহকের চাপে তাদের প্রযুক্তি ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছিলো। যদিও দুদিনের মধ্যেই সমস্যাটি সমাধান করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের প্রচুর মানুষও হোয়াটসঅ্যাপকে বাই বলে সিগন্যাল ও টেলিগ্রাম বেছে নিয়েছেন। কিন্তু এই দুটি অ্যাপের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষ বেশি পছন্দ করেছে তুরস্কের তৈরি বিপ অ্যাপটি। ঠিক কী কারণে বাংলাদেশের মানুষ বিপের দিকে ঝুঁকেছে সেটি অবশ্য স্পষ্ট নয়।
গত কয়েকদিনে বিপ, সিগন্যাল ও টেলিগ্রামে কয়েক কোটি করে নতুন গ্রাহক যোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ইন্সটল করেছেন বিপ এবং এর মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপকে সরিয়ে বাংলাদেশের এক নম্বর মেসেজিং সেবা এখন বিপ।
বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত মোবাইল অ্যাপ ইন্টেলিজেন্স প্লাটফর্ম মোবাইল অ্যাকশনের মতে বাংলাদেশে অ্যান্ড্রয়েডভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপগুলোর মধ্যে এক নম্বরে আছে বিপ। দুই নম্বরে আছে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইমো, ফেসবুক মেসেঞ্জার ও টেলিগ্রাম আছে এর পরপর।