মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে প্রসিদ্ধ ‘লাক্কাতুরা’ চা বাগানের কোলে গড়ে উঠেছে সিলেট স্টেডিয়াম। মূল গেট থেকে ৫০০ গজের কিছুটা বেশি সর্পিল পথ গিয়ে থেমেছে স্টেডিয়ামে। দু’পাশের ঘণসবুজ চা বাগানের অভিবাদনে সিক্ত হয়ে মূলমাঠে ঢুকতেই একদিকে গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড। আর তার ঠিক বিপরীতে মিডিয়া সেন্টার।
দুটি স্থাপত্যেই বৃটিশ আদলে গড়া। গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের লাল টালির ছাদ এবং মিডিয়া ভবনের আনকোরা স্থাপত্য শৈলীও দেশের অন্যান্য স্টেডিয়াম থেকে সিলেটকে আলাদা করেছে। মানে অপার মুগ্ধতা নিয়েই আপনি মাঠে প্রবেশ করবেন।
মুগ্ধতার ছটা মিলবে মাঠের গ্যালারিতেও। মাঠের পশ্চিম দিকের টিলার গাঁ ঘেষে গড়ে তোলা গ্রিন গ্যালারিতে বসে যে কেউই ভুল করে ভাবতে পারেন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে আছেন। গ্রিন গ্যালারির পাশাপাশি টিলার ওপরেও বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ১০ স্তরের টিলায় বসে খেলা দেখার অপার্থিব আনন্দ শুধু এখানেই।
তাই হয়তো মাঠটিকে সুন্দর আখ্যা না দিয়ে পারলেন না ক্যারিবিয়ান দলপতি রোভম্যান পাওয়েলও। শুরকবারের (১৪ ডিসেম্বর) ম্যাচের পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটি একটি নয়নাভিরাম স্টেডিয়াম। এখানকার সুযোগ সুবিধা দেখে আমি মুগ্ধ। সত্যি আমি বিস্মিত। দেখতে এত সুন্দর!’
সংবাদ সম্মেলনে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি নিয়ে বেশ নির্ভার দেখালো এই উইন্ডিজ দলপতিকে। সিলেটের উইকেট দেখে তার মনে হয়েছে মিরপুরে দ্বিতীয় ম্যাচের ধারাবাহিকতায় শেষ ম্যাচে এখানেও জয় কঠিন হবে না। আর সেই লক্ষ্যে নিজেদের ব্যাটিং ইউনিটকে আরো ধারালো দেখতে চান তিনি।
বলেন, ‘এখানকার উইকেট বাংলাদেশের অন্যান্য ভেন্যুগুলোর মতোই। মন্থর ও বল নিচু হয়ে আসবে। তাই আমরা আশা করতে পারি আমরা এখানে খাপ খাইয়ে নিয়ে উইন্ডিজকে জয় উপহার দিতে পারি। সেক্ষেত্রে আমাদের ব্যাটসম্যানদের ভুমিকা রাখতে হবে। তবে তারা শুরুটা ভাল করলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারছে না। তাই অবশ্যই আমাদের একটি দল হিসেবে খেলতে হবে এবং ভাল ব্যাটিংটা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আমরা দেশকে জয় উপহার দিতে পারব।’
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
সূত্র: বাংলানিউজ