শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

করোনা আতঙ্কে রোগী শূন্য লাকসাম সরকারি হাসপাতাল

আরিফুর রহমান স্বপন, কুমিল্লা: করোনাভাইরাস আতঙ্কে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে। হাসপাতালের বাহিরে ও ভিতরে নেই রোগী ও স্বজনদের ছোটাছুটি। কমেছে বহিঃবিভাগের রোগীর সংখ্যাও।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে বর্তমান ১৪ জন চিকিৎসক, ২০ জন নার্স, ১ জন সহকারী নার্স ও ৪ জন ডেলিভারী নার্স কর্মরত থাকলেও রোগী ভর্তি আছে পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড মিলে মাত্র ১৫ জন। প্রতিটি ওয়ার্ডের বিছানাগুলো খালি পড়ে আছে।

অপরদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে কোন রোগীর আনাগোনা নেই। তবে টিকিট কাউন্টারে দুইজন কর্মচারীকে বসে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ৩৫০ হতে ৪০০ রোগী হতো, সেখানে করোনা আতংকের কারণে ৫০-৬০ জনের বেশি রোগীর দেখা মেলে না।

হাসপাতালের বহির্বিভাগের রেজিষ্টার হতে কয়েকদিনের তথ্য খুঁজে দেখা যায়, ২৮ মার্চে ৪১ জন, ২৯ মার্চ ৭৬ জন, ৩০ মার্চ ৫০ জন, ৩১ মার্চ ৬৪ জন, ১লা এপ্রিল ৫৫ জন রোগী ডাক্তার দেখাতে এসেছে।

বর্হি বিভাগে রোগীদের সঙ্গে আসা মানুষগুলো হাসপাতালের ফটকের বাইরের সড়কের পাঁয়চারি করছেন। আর বহির্বিভাগে কিছু রোগী ডাক্তার দেখিয়ে পরামর্শ নিয়ে তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল আলী বলেন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী টহলে নেমেছে। সচেতনতা বৃদ্ধিতে তারা প্রচার করছেন, করোনা থেকে মুক্তি পেতে বাড়ি থেকে বের হবেন না, বাসায় থাকবেন। এসব শুনে মানুষ সচেতন হচ্ছেন। এখন যেন মারামারিও কমে গেছে। ফলে আহত হয়েও রোগী আসে না। তারা নিজেরাই বাসা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ওয়ার্ড ইন-চার্জ প্রভাতি রানী সিংহ বলেন,‘আগে ওয়ার্ডে জায়গা দেয়া যেত না, বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতো রোগীরা। এখন ওয়ার্ডে বিছানাগুলো খালি পড়ে আছে।’ তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস আতঙ্কে মানুষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এ কারণেও এ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরুষ ওয়ার্ডের এক নার্স বলেন, এই ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪৫-৫০ জন রোগী ভর্তি থাকত। করোনা ভাইরাসের কারণে এখন হাসপাতালে কোন রোগী ভর্তি থাকতে চায় না।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণা,সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সচেতনা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমেছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com