রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
তরফ আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যু্ক্তরাষ্ট-চীন; দুই দেশের মধ্যে নীরব দ্বন্দ্ব বহুদিনের। তবে মাত্রা বেড়েছে এই করোনা ভাইরাসকালে। যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসটি ছড়াতে শুরু করার পর থেকেই চীনকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হুমকি দিচ্ছেন বার বার। বলছেন, চীন চাইলে দেশের মধ্যেই সংক্রমণ আটকে রাখতে পারত।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) করোনা সংকটে বেইজিংয়ের ওপর আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নিতে চীনকে নতুন শুল্ক দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে বলেছেন, তিনি উহানের একটি ল্যাবকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন।
এর আগে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের চাকরি চলে গেছে। যদিও এ পর্যায়ে লকডাউন ব্যবস্থা শিথিল হতে যাচ্ছে দেশটিতে।
এছাড়া আগামীতে এই সংকট ঘিরে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ও এই অঞ্চলজুড়েই থাকবে বলে সন্ধান করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা এও বলেছেন, ইউরোপে এক নজিরবিহীন আর্থিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে অনেক আগে থেকেই।
এদিকে, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আক্রান্ত করেছে তিন মিলিয়নের বেশি লোক। এরমধ্যে আবার যুক্তরাষ্ট্রেরই সবচেয়ে বেশি। এছাড়া বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানবতাকে একরকম লকডাউনের অধীনে থাকতে বাধ্য করেছে। যা কি-না বিশ্ব অর্থনীতি পঙ্গু করে দিচ্ছে।
শুরু থেকেই ধারণা করা হয়, এই নতুন করোনা ভাইরাস গত বছরের শেষ দিকে চীনা শহর উহানের এমন একটি বাজার থেকে ছড়িয়েছে, যেখানে পশুর মাংস বিক্রি করা হয়। কিন্তু এই জল্পনা-কল্পনা স্থল শূন্য করে এই প্রাদেশিক রাজধানী শহরের একটি ল্যাব থেকে গোপনে ওই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে দিনে দিনে। এমনই সন্দেহ করতেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও। অবশ্য এবার বলেই দিয়েছেন তিনি এর প্রমাণ পেয়েছেন।
এ দিন হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে গিয়ে এ কথা বলেন ট্রাম্প। এসময় উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে উচ্চমাত্রার আত্মবিশ্বাস দেওয়ার মতো কিছু পেয়েছেন কি-না, ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি আপনাদের এটি বলতে পারি।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সামনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমাকে হারাতে চায়। তিনি মনে করেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে পরবর্তীকালের ক্ষমতায় চায় বেইজিং। অবশ্য, এই সামনেই, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে এখন তেমন আলোচনা নেই দেশটিতে।
তিনি এও বলেছিলেন, কীভাবে ভাইরাস ছড়িয়েছে, তা নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছি। আমরা সিরিয়াসলি তদন্ত শুরু করেছি। চীনকে কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হবে।