বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০২:০৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হবিগঞ্জ জেলা দলে সুযোগ পেয়েছে এস এস ফুটবল একাডেমীর ৫ খেলোয়াড় ঢাবি থেকে হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার আন্তর্জাতিক কিশোর ফুটবল আসরে সুযোগ পেয়েছে হবিগঞ্জের নাহিদ বাহুবলে টমটম চালক হত্যার ঘটনায় আরও ১ জন আটক বাহুবলে পাসের হার ৬১.৭০, সেরা আবারও ‘সানশাইন’ এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা জনি হত্যা মামলার আসামি রিমান্ডে, উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা বাহুবলে টমটম চালক হত্যার ঘটনায় মামলা, দুই আসামি কারাগারে ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম অডিও ফাঁস- দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা: বিবিসির প্রতিবেদন

অন্য বাহিনী ব্যর্থ হলেই কেবল সেনাবাহিনী এ্যাকশনে যাবে, বিচারিক ক্ষমতা থাকবে না

তরফ নিউজ ডেস্ক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় দিন আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন হবে, তবে তাদের কোন বিচারিক ক্ষমতা থাকবে না এবং অন্য সব বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেই কেবল তারা ‘এ্যাকশনে’ যাবে।

নির্বাচন কমিশনের সচিব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ২৪শে ডিসেম্বর থেকে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে এবং ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে’ সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলছেন, নির্বাচনের সময় যদি এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয় তা নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্য সব বাহিনী ব্যর্থ হচ্ছে – শুধু তখনই সেনাবাহিনী এ্যাকশনে যাবে।

সেনাবাহিনীকে কোন বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে না। নির্বাচনের সময় আচরণবিধি ভঙ্গ বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর যে কোন কর্মকান্ড ঠেকানো, অপরাধের বিচার এবং শান্তি রক্ষার জন্য দেড় হাজার ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। সেনাবাহিনী ও বিজিবির সাথেও ম্যাজিস্ট্রেটরা থাকবেন।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “সেনাবাহিনীকে কোন বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে না। তবে যদি তারা কোন ‘এ্যাকশনে’ যায় – তাদের সাথে ম্যাজিস্ট্রেট যাবেন।”

“আমরা কখনো বলিনি যে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়া হবে। সেনাবাহিনী যখন কোন এ্যাকশনে যাবে তখন সঙ্গে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতিক্রমেই তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।”

“বিজিবির সাথেও ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। শুধু র‍্যাব ও পুলিশের সাথে কোন ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন না – তারা ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াই এ্যাকশনে যাবেন” – বলেন নির্বাচন কমিশনার মিজ খানম।

“প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় চার-পাঁচটি স্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে। প্রথম স্তরে পুলিশ, তার পর বিজিবি, তারপর র‍্যাব – তার পরে থাকবে সেনাবাহিনী।”

“যদি এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে অন্য সব বাহিনী ‘ফেল’ করছে – শুধু তখনই সেনাবাহিনী এ্যাকশনে যাবে” – বলেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম।

যদি তেমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে সেনাবাহিনীকে ডাকার সিদ্ধান্ত কে নেবেন? প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, “এটা তো রিটার্নিং অফিসারই পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সেনাবাহিনীকে ইনফর্ম করবে। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় রিটার্নিং অফিসারই নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করেন।”

“জেলা থেকে উপজেলা স্তর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মুভমেন্ট থাকবে। তারা ভিজিবল থাকবে – অর্থাৎ তাদের উপস্থিতি দেখা যাবে, কিন্তু পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব এই তিন বাহিনীও থাকবে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com