বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : গাইবান্ধা-৩ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী মারা যাওয়ায় ওই আসনে নির্বাচন স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৭/১ ধারা অনুযায়ী আসনটিতে নির্বাচন বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইসি সচিব।
তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীর মৃত্যুর সনদসহ বিষধ তথ্য পাঠালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররা এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিবেন। তবে, ৩০শে ডিসেম্বর ওই আসনে নির্বাচন হবে না। এরপর, সিদ্ধান্ত নিয়ে পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশন সচিব।
বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান নির্বাচন কমিশন সচিব। সাংবাদিকরা বেশ কিছু জায়গায় সহিংসতার ঘটনা উল্লেখ করলে এগুলোকে বিক্ষিপ্ত বলে মন্তব্য করেন সচিব।
তিনি বলেন, এগুলো উপমহাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। পাশের দেশ ভারত, শ্রীলংকায়ও এ ধরনের ঘটনা হয় বলেও জানান তিনি। তবে, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে সব জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তাকে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামলে পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। নির্বাচন কমিশনারদের মতপার্থক্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এটা মাননীয় কমিশনারদের বিষয়। এটা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
ইসি সচিব আরও জানান, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটের মাঠে থাকবে গ্রাম পুলিশ। ৬৪টি জেলায় ৪১ হাজার গ্রাম পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অনান্য বাহিনীর সঙ্গে চার দিন কাজ করবে। এজন্য মহলাদাররা (চৌকিদার) ৫০০ টাকা ও দফাদাররা ৬০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। সেই হিসেবে এবারই কমিশন থেকে নির্বাচনের জন্য ভাতা পাবেন গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। নির্বাচনে গ্রাম পুলিশের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৮ কোটি ২১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এই বরাদ্দ জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব। গ্রাম পুলিশ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে এই বরাদ্দ বুঝে নেবেন।
গ্রাম পুলিশের সদস্যরা পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যদের মাঠ পর্যায়ে তথ্য দিয়ে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করবেন। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিকেও নির্বাচনের জন্য অগ্রিম ৩৩৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর জন্য এখনো বরাদ্দ নিশ্চিত করতে পারেনি কমিশন।
তথ্য সূত্র : মানবজমিন