মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: দেশে রাশিয়ার টিকা স্পুতনিক-ভি এর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি এই অনুমোদন দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সভায় টিকা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন রাশিয়ার এই টিকা আমদানি ও ব্যবহারে আইনগত বাধা থাকল না।
সরকারি নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, কিনতে চাইলে রাশিয়া বাংলাদেশকে আগামী মাস অর্থাৎ মে থেকেই টিকা দিতে পারবে।
ঔষধ প্রশাসনের স্পুতনিক-ভি টিকার বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশে অনুমোদন পাওয়া টিকার সংখ্যা দাঁড়াল দুটি। এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিকেল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল।দেশের শীর্ষ স্থানীয় জনস্বাস্থ্যবিদ, টিকা বিশেষজ্ঞ, ওষুধবিজ্ঞানী ও রোগতত্ত্ববিদেরা এই কমিটির সদস্য।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দিলে এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড—এই সাত দেশে ব্যবহারের অনুমোদন থাকলে সেসব ওষুধ, টিকা বা চিকিৎসাসামগ্রী বাংলাদেশে অনুমোদন দেওয়া হয়। ধরে নেওয়া হয় বৈজ্ঞানিকভাবে কার্যকর ও নিরাপদ বলেই এসব ওষুধ ও টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ওই দেশগুলো অনুমোদন দেয়। কিন্তু রাশিয়ার টিকাটি ওই সব দেশ বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন এখনো পায়নি। সে কারণে টিকাটির বিশেষ অনুমোদন দরকার ছিল।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ল্যানসেট-এর গবেষণা প্রবন্ধে দেখা গেছে, রাশিয়ার টিকার কার্যকারিতা ৯১ শতাংশের কিছু বেশি। মাঠ গবেষণায় দেখা গেছে, কার্যকারিতা ৯৬ শতাংশের বেশি। টিকাটি ৫০টির বেশি দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ এই টিকা নিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য টিকা এখন জরুরি প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের জন্য বসে থাকার সময় নেই। জরুরি অনুমোদনের নজির অন্য অনেক দেশে আছে।
দেশে ভারত থেকে টিকা আসা অনিশ্চয়তায় পড়ায় গণ টিকাদান কর্মসূচিতে ছেদ পড়েছে। গতকাল থেকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম ডোজ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য মজুত সরকারের হাতে নেই।