বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পুলিশের উদ্ধার করা অজ্ঞাত নারীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে। মৃতদেহের সাথে থাকা একটি বস্তার সুত্র ধরে কয়েক ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আটক হত্যাকরী মো. মসুদ মিয়ার (৬২) সে আমিদ্রোন ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মৃত এখলাছ মিয়ার পুত্র।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মসুদ মিয়া জানায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করে। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে সিন্দুরখান ইউনিয়নের উদনাছড়ায় নিয়ে ব্রিজের নিছে ফেলে আসে।
পুলিশ জানায়, মৃত নারীর নাম ডলি আক্তার (২৫) সে জিনাইদহ জেলা সদরের বধনপুরের মৃত ফেলু মন্ডলের মেয়ে। শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান রোডের জোড়াপুল এলাকায় স্বামী মো. মসুদ মিয়ার সাথে বসবাস করে আসছিল। মৃত ডলি আক্তার মসুদের চতুর্থ স্ত্রী।
বুধবার (১৯) মে) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিন্দুরখান ইউনিয়নের উদনাছড়া ব্রিজের নিছ থেকে বস্তাবন্ধি নারীরর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ মোড়ানো বস্তার সুত্রধরে পুলিশ হত্যাকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। আশরাফুজ্জামান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপারে পদোন্নতি প্রাপ্ত) শ্রীমঙ্গল সার্কেলসহ শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামীকে আটক করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
পুলিশের প্রেস ব্রিফিং থেকে জানানো হয়, পুলিশ হত্যাকরী মসুদ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি একজন সুদী কারবারি। তার চার-পাঁচটি স্ত্রী রয়েছে তার চারিত্রিক অবস্থা খারাপ থাকায় কোন স্ত্রীর সাথে তার বনিবনা নেই।
এসময় প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সুমন, হাসান মোহাম্মদ রিকাবদার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (অপরাধ), এবিএম মুজাহিদুল ইসলাম পিপিএম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর মৌলভীবাজার, ওসি আব্দুছ ছালিক দুলাল,শ্রীমঙ্গল থানা, মৌলভীবাজার।
এই অভিযানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) আশরাফুজ্জামান আশিক’র নেতৃত্বে ওসি আবদুছ ছালিক, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হুমায়ুন কবির, এস আই আসাদুর রহমান, এসআই আলমগীর,এস আই আলামিন,পুলিশ সদস্য মোশাররফ হোসেন রেজাউল করিম শওকত আলী ও নারী পুলিশ সদস্য আসিফা খাতুন অংশগ্রহণ করেন।