সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের পর মূলপর্বে কখনও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। একে একে কেটে গেছে সাতটি আসর। অতপর বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের প্রথম ম্যাচে পেল দ্বিতীয় জয়ের দেখা। আর তাসকিন আহমেদের নৈপুণ্যে দাপুটে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর শুরু করল সাকিব আল হাসান বাহিনী।
রান তাড়া করতে নেমে তাসকিনের করা প্রথম দুই বলেই কটবিহাইন্ড হন দুই ডাচ ব্যাটার। বিক্রমজিৎ সিং ও ডি লিডের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। এরপর ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বল হাতে আসেন টাইগার দলনেতা সাকিব আল হাসান। এই ওভারে গেছে ডাচদের আরও দুই উইকেট। দুটিই রান আউট। ৮ রানে ম্যাক ওডুড ও শূন্যরানে ফেরেন টম কুপার।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধের চেষ্টা চালান কলিন অ্যাকারম্যান ও দলনেতা স্কট এডওয়ার্ডস। কিন্তু বাংলাদেশি বোলারদের সামনে পারেননি সুবিধা করতে। ৪৪ রানের জুটি গড়ার পর ব্যক্তিগত ১৬ রানে আউট হন এডওয়ার্ডস। আর পরের উইকেটে খেলতে নেমে ১ রান করেন টিম প্রিঙ্গল।
এরপরও পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট। ২ রানে ভ্যান বিক ও ৯ রানে ফেরেন সারিজ আহমেদ। এদিকে আপনতালে খেলতে থাকা কলিন অ্যাকারম্যান তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি। তাসকিনের বলে আউট হওয়ার আগে ৬২ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। এছাড়া দুটি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। আর একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে মাঠে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন। তবে পাওয়ারপ্লের শেষ দিকে এসে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। দলের ৪৩ ও ৪৭ রানের মধ্যে দুজন ওপেনারকে হারায় টাইগাররা।
দলীয় ৪৩ রানে পল ভ্যান মিকারেনের শিকার হন সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ১৪ রানে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। পরের ওভারেই টিম প্রিঙ্গলের শিকারে পরিণত হন ওপেনার শান্ত। ২০ বলে ৪ চারে ২৫ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
এরপর ক্রিজে নেমে থিতু হতে পারেননি লিটন দাস ও অধিনায়ক সাকিব। ৯ বল খেলে ৭ রান করে দলকে বিপদে ফেলে ফেরেন তিনি।
দলের ৭০ রানে ব্যাট হাতে দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। তার সঙ্গে জুটি বেধে দলীয় রানের খাতা বড় করেন আফিফ। দলীয় ১২০ রানে ফিরেন যান সোহান। ১৮ বলে ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। এরপর আফিফও মাঠ ছেড়ে যান। ২৭ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। এটিই দলের হয়ে আজকের ম্যাচে সর্বোচ্চ একক রান। এরপর মোসাদ্দেক ছাড়া আর কেউ ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। মোসাদ্দেকের ১২ বলে ২০ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৪৪ এ থামে বাংলাদেশের রানের চাকা।
ম্যাচে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেন নেদারল্যান্ডসের ফন মিকেরেন ও ডি লেডস। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন, টিম প্রিঙ্গল, শারিজ আহমেদ, লোগান ভ্যান বিক ও ফ্রেড ক্লাসেন।