রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ৩ কলম্বিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা বাহুবলে স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণের জন্য জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাহুবলে দুই মাস ধরে নিখোঁজ রবিউলের সন্ধান চায় পরিবার যে কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি দেয় সোহাগ ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেপ্তার পিএসসির প্রশ্নফাঁস: দায় স্বীকার করে ৭ জনের জবানবন্দি, ১০ জন কারাগারে দেশের সম্পদ বেচে মুজিবের মেয়ে ক্ষমতায় আসে না: প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকি, প্রতিবাদে বাহুবলে মানববন্ধন

বাহুবলে ৩ দিন ব্যাপি একুশে বইমেলার উদ্বোধন করলেন ডিসি

ফিতা কেটে বইমেলার উদ্বোধন করছেন ডিসি মাহমুদুল কবীর মুরাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাহুবল একুশে বইমেলা বাহুবল উপজেলা তথা পুরো হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহ্য রক্ষা করে চলছে। এটি আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে চির জাগ্রত রাখছে। কিন্তু বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। এখন ইন্টারনেট আমাদের শিশুদের ঘরে কম্পিউটারমুখী করে রেখেছে। সে জন্য বইমেলায় ওরা আর ছুটে আসছে না। আগের দিনে আমাদের বই ছিল একমাত্র বিনোদনের উপকরণ। আমরা বই পড়ে আনন্দ পেতাম। বই পড়ে বিশ্ব সম্পর্কে জানতাম। নিজেকে চিনতাম। মননের বিকাশ ঘটত। বই আমাদের মাঝে নেশা ধরিয়ে দিত। বই পড়ে রাত কাটিয়ে দিতাম। কিন্তু এখনকার প্রজন্ম সেই অবস্থায় নেই। তারা ইন্টারনেটে গেমসহ নানা কিছু দেখে। তাই বইমেলা তাদের অতটা কাছে টানতে পারে না। তবু অনেকেই মেলায় আসে। আসছে। আসতে আসতে মেলা জমে উঠবে। বিশ্ববিখ্যাত লেখক লিউ টলস্টয় বলেছেন, জীবনের জন্য তিনটি জিনিস প্রয়োজন। এক-বই, দুই-বই, তিন-বই। গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে, মনুষ্যত্বের বিকাশের জন্য, সত্যিকার জ্ঞান অর্জনের জন্য, সত্যিকারের মানুষ হওয়ার জন্য বইয়ের বিকল্প শুধুই বই। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের প্রভাবে বইবিমুখ হয়ে যাচ্ছে। ইন্টারনেটের প্রয়োজন আছে, তবে তা প্রয়োজন বেশি যেন না হয়। পাঠ্যবইয়ের পর তরুণদের ইন্টারনেট নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। তরুণেরা ভালো বই পড়লে নানা রকমের অপরাধকর্মে জড়িয়ে পড়বে না। তাদের বলব ভালো বই পড়। আজকের বই মেলায় আমরা ওয়াদাবদ্ধ হই এখন থেকে নিজেরা বই পড়ব এবং অন্যদের বই উপহার প্রদান দেব। বাহুবল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৩ দিন ব্যাপি অষ্টাদশ একুশে বইমেলা ২০১৯- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ এই কথাগুলো বলেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় উপজেলা পরিষদ মাঠে ঐতিহ্যবাহী বাহুবল একুশে বইমেলা ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিষ কর্মকারের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নূরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলোচনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও বাহুবল মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ নূরুল ইসলাম নূর।


বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলাম, বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির চৌধুরী, রশিদ গ্যাস ফিন্ডের সহকারি ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডা. আবুল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বশির আহমেদ, ডিএনআইর সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, আমরা সবুজ সংঘের সাধারণ এম এ মজিদ তালুকদার, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মখলিছুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ফারুকুর রশীদ ফারুক, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এম. রশিদ আহমেদ প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং বই ক্রয় করেন। সন্ধ্যা ৭টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক মঞ্চায়িত হয়।

উল্লেখ্য, এ বছর মেলায় ২৫টি স্টল অংশগ্রহণ করছে। মেলাটি আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে আগামী ২১ ফেব্র“য়ারি বৃস্পতিবার পর্যন্ত চলবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com