রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় গত মাসে ভোটের দায়িত্বপালনকারীদের ওপর দুর্বৃত্তের হামলায় আহত আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিরু বিকাশ চাকমা নামের এই ভোট কর্মকর্তা ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সোমবার রাতে মারা যান বলে চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন।
নিরু বিকাশ চাকমার মৃত্যুর খবর বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিপেঞ্জু চাকমাও নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে গত ১৮ মার্চের ওই হামলার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আট জন হল।
বাঘাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নিরু বিকাশ চাকমা ওইদিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সেদিন ভোটগ্রহণ শেষে কংলাক কেন্দ্র ছাড়াও মাচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে নির্বাচনকর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা হয়।
বাঘাইছড়ি-দিঘিনালা সড়কের নয় মাইল এলাকায় নির্বাচন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী চাঁদের গাড়িগুলোর উপর হামলা হয় বলে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পুলিশের ভাষ্য, তিনটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তা, পুলিশ এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা বিজিবির পাহারায় তিনটি চাঁদের গাড়িতে করে দীঘিনালা ফিরছিলেন। এসময় সংঘবদ্ধ দৃর্বৃত্তরা ‘ব্রাশফায়ার’ করলে দ্বিতীয় গাড়িটি আক্রান্ত হয়। সেসময় চালক দ্রুতগতিতে গাড়িটি চালিয়ে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে গাড়ি থেকে নামানোর পর একে একে মারা যান ছয়জন। পরে চট্টগ্রামের হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরেকজন।
ওইদিন নিহতরা হলেন- আমির হোসেন, আবু তৈয়ব, মন্টু চাকমা, মিহির কান্তি দত্ত, আল আমিন, বিলকিস আক্তার ও জাহানারা বেগম।
নিহতদের মধ্যে শিক্ষক আমির ও আবু তৈয়ব পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মিহির দত্ত, আল আমিন, বিলকিস আক্তার ও জাহানারা বেগম আনসার ও ভিডিপি সদস্য। মন্টু চাকমার পরিচয় জানা যায়নি।
হামলায় আহত ১১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম পাঠানো হলেও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের মধ্যে থেকে সাতজনকে ঢাকার সিএমইচে আনা হয়, যাদের মধ্যে নিরু বিকাশ চাকমাও ছিলেন।