মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বাহুবলে মরহুম মকসুদ আহমেদ লেবু’র স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত কবরস্থান নিয়ে বিরোধ; হামলার ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত মিরপুর দি হোপ স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে

২০ দল ছাড়ল পার্থের বিজেপি

তরফ নিউজ ডেস্ক : আরেক দফা ভাঙন দেখা দিল ২০ দলীয় জোটে। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ এ জোট থেকে বের হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার তার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে বিজেপি মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদ এ তথ্য জানান। বিএনপির বিরুদ্ধে অবজ্ঞা অবহেলার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ২০ দলকে পাশ কাটিয়ে তারা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা তাদের থেকে অবজ্ঞা অবহেলার শিকার হয়েছি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বর্জন করেও তারা সংসদে যোগ দিয়েছে। অথচ বলে আসছে যে, তারা সংসদে যাবে না। তারা যে সংসদে যোগ দেবে সে বিষয়ে ২০ দলের সঙ্গে কোনো আলোচনাই করেনি।

আপনারা তাহলে কোন জোটে যোগ দিচ্ছেন- এমন প্রশ্নে সাউদ বলেন, আপাতত কোনো জোটে যাচ্ছি না। আমরা আমাদের দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত থাকবো।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজেপি ১৯৯৯ সাল থেকে চার দলীয় জোটে এবং পরবর্তীতে ২০ দলীয় জোটে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর থেকে ২০ দলীয় জোটের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্রমশই স্থবির হয়ে পড়ে। ঐক্যফ্রন্টমুখী হওয়ায় ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং পরবর্তীতে সরকারের সঙ্গে সংলাপসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ২০ দলীয় জোটের বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো দলের সম্পৃক্ততা ছিল না।

এতে আরও বলা হয়, কেবল সংহতি ও সহমত পোষণের জন্য ২০ দলীয় জোটের সভা ডাকা হতো। ৩০ ডিসেম্বরের প্রহসন ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ২০ দলীয় জোটের সবার সম্মতিক্রমে এ নির্বাচনকে প্রত্যাখান করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে প্রথমে ঐক্যফ্রন্টের দুজন এবং পরে বিএনপির সম্মতিতে দলটির চারজন সংসদ সদস্য শপথ নেয়ায় দেশবাসীর মতো বিজেপিও হতবাক হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শপথ নেয়ার এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিএনপি ছাড়া ২০ দলের অন্য কোনো দলের সম্পৃক্ততা নেই। বিজেপির ধারণা, এ শপথের মাধ্যমে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট ৩০ ডিসেম্বরের প্রহসনের নির্বাচনকে প্রত্যাখান করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এ অবস্থায় ২০ দলীয় জোটের বিদ্যমান রাজনীতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ২০ দলীয় জোটের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপ ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)। যদিও তাদের একটি অংশ পরে ২০ দলের সঙ্গে থেকে যায়। পরবর্তীতে আরো ৩টি দল ২০ দলীয় জোটে যোগ দেয়। ২৩ দল বিশিষ্ট ২০ দলীয় জোট এখন ২২ দল বিশিষ্ট ২০ দলীয় জোটের পরিণত হলো।

তথ্যসূত্র: জাগো নিউজ

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com