বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
মোঃ সুমন আলী খাঁন, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে : পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। রোদ-বৃষ্টি, গরমকে উপেক্ষা করেই মানুষ ছুটছে ঈদ বাজারের দিকে। ঈদের আর বাকি ১২ দিন। এরপরই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। আর এটা মাথায় রেখেই ব্যবসায়ীরাও ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী সাজিয়ে রেখেছেন তাদের দোকান।
তরুন-তরুনীরা দিনব্যাপী ভিড় জমাচ্ছেন দোকানগুলোতে। নতুন ডিজাইন আর বিভিন্ন মডেলের পোশাক কিনতে শুরুতেই তাদের উপচে পড়া ভিড়। উপজেলার বিভিন্ন ছোট-বড় হাট বাজারে ঈদের কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন। এছাড়া ফুটপাতের ব্যবসায়ীরাও কাপড়ের সমাহার নিয়ে বসেছেন বিভিন্ন হাঠ-বাজারে। অল্প লাভে বেশি বিক্রির আশায় বেশির ভাগ পোশাক ব্যবসায়ীদের প্রথম টার্গেট হচ্ছেন মধ্যবিত্ত ক্রেতারা। এখন অনেকে ১০ রমজানের পর থেকেই ঈদের মার্কেট করা শুরু করেছেন। এর কারণ হলো রমজানের ঈদ যখন সামনে ঘনিয়ে আসে, তখন মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের প্রচন্ড ভিড় বাড়তে থাকে। এ কারণে অনেক ক্রেতারা ঝামেলা এড়াতে আগে থেকেই ঈদের মার্কেটের কাজ শেষ করেন। মার্কেটগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের পাশাপাশি যুবক-যুবতী, স্কুল-কলেজের ছাত্র/ছাত্রীসহ প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানদের কেনাকাটা লক্ষণীয় ।
বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় এই বছর প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম সহনীয়। ব্যবসায়ী সুবেলের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় তার দোকানে বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড়ের চাহিদাটা একটু বেশি। তাই সকল ক্রেতার রুচিশীল পছন্দের কথা মাথায় রেখে তার দোকান সাজিয়েছেন নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় দিয়ে।
এদিকে জুতা ও কসমেটিক্স উপহার দিতে অনেক ব্যবসায়ী প্রস্তুত রেখেছেন তাদের দোকান। তবে এখনো পুরোদমে কেনাকাটা শুরু হয়নি বলেও জানান ওই ব্যবসায়ী। এই ঈদে ক্রেতারা তাদের প্রিয়জনকে কি দেবেন, তারও তালিকা তৈরি করেছেন অনেকেই। নারীদের পোশাক শাড়ি, থ্রি-পিছ, শিশুদের পোশাক, থান কাপড়ের দোকানসহ ঘর সাজানোর বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। বিশেষ করে বাজার গুলোতে বিকেলে ক্রেতাদের ভিড় বেশি দেখা যায়। বেশির ভাগ পরিবার দল বেঁধে ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন। বাবা-মায়ের হাত ধরে ছোট্ট শিশুরাও নিজেদের পছন্দের প্রয়োজনীয় জিনিষ খুঁজে নিচ্ছেন দোকান গুলোতে থেকে। ঈদের কেনাকাটায় ছেলেদের তুলনায় পিছিয়ে নেই মেয়েরাও। দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে নিয়ে অনেকেই খুঁজে নিচ্ছেন পছন্দের জামা কাপড়। এমনই একজন ক্রেতার সাথে কথা হয়। নাম হৃদি খাঁ। তিনি নবীগঞ্জ শহরের চৌদ্দহাজারী মার্কেটের ‘মাই চয়েজ ফ্যাশনে’ এসেছেন জামা কেনার উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখে কিছুক্ষন আগে এখানে আসলাম। শুনেছি এখানে নতুন ডিজাইনের ভাল ওয়ান-পিছ জামা পাওয়ায়। এর আগে আমার অনেক বান্ধবী এখান থেকে জামা ক্রয় করেছে। তারই সুবাদে আমি নিজেও ভাল একটি জামা ক্রয় করেছি। কাপড়ের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার বাজারে আগের তুলনায় কাপড়ের দাম তেমন একটা দাম বাড়েনি। কাপড়ের দাম সহনীয় আছে।
বিভিন্ন দোকানের ম্যানেজারদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, এখন অনেকেই প্রথম রমজানের পর থেকে ঈদের মার্কেট করে ফেলেন। এর কারণ হলো রমজানের ঈদ যখন সামনে ঘনিয়ে আসে, তখন মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। এ কারণে অনেকেই ঝামেলা এড়াতে আগেই ঈদের মার্কেটের কাজ শেষ করেন।