রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ২টায় শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল।
১৯৭৫ সালে নিজেদের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতা পেরু এবার অনেকটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে। গ্রুপ পর্বে দলটি ব্রাজিলের কাছে উড়ে গিয়েছিল ৫-০ গোলে।
গ্রুপ পর্বের দুই তৃতীয় সেরা দলের একটি হয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠে আসার পর যেন বদলে গেছে দলটি। কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে টাইব্রেকারে হারানোর পর সেমি-ফাইনালে গত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন চিলিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় গার্সিয়ার শিষ্যরা।
লাতিন আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ ২০০৭ সালে শিরোপা জেতা ব্রাজিল নিজেদের মাঠের প্রতিযোগিতায় আলো ছড়াচ্ছে দলের সেরা তারকা নেইমারকে ছাড়াই। কাতারের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে গোড়ালির গাঁটে চোট পেয়ে ছিটকে যান পিএসজির এই ফরোয়ার্ড।
নেইমারকে ছাড়া দারুণভাবে ছুটে চলা ব্রাজিলকে সমীহ করছেন গার্সিয়া। তবে দুই বড় দলকে বধ করে ফাইনালের মঞ্চে আসা শিষ্যদের নিয়েও আত্মবিশ্বাসী তিনি।
“নেইমারের গুরুত্ব নিয়ে সন্দেহ নেই কিন্তু ব্রাজিল তাকে ছাড়া খুবই ভালো খেলছে। দীর্ঘদিন ব্রাজিলের এই খেলোয়াড়েরা একসঙ্গে রয়েছে। তারা কোনো গোল হজম করেনি। তারা নিজেদের গভীর দৃঢ়তা দেখিয়েছে এবং তাদের খুব ভালো সময়ে আমরা তাদের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি। কেননা, তারা শীর্ষ পর্যায়ের খেলা খেলছে।”
“(আমাদের জন্য) ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলার এটাই আদর্শ সময়। কেননা, আমরা সবেমাত্র দুটি দারুণ দল উরুগুয়ে এবং চিলিকে ছিটকে দিয়ে এসেছি। যেটা আমাদের আরও শক্তিশালী করেছে।”
২০১৪ সালে ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলের সাও পাওলোর দল পালমেইরাসের কোচ থাকা গার্সিয়া মনে করেন, রোববারের ফাইনালে বলের নিয়ন্ত্রণ রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ হবে।
“বিশেষ করে ব্রাজিলের বিপক্ষে বলের নিয়ন্ত্রণ রাখা গুরুত্বপূর্ণ হবে। বলের নিয়ন্ত্রণ রাখা তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাই আমরা সেটা যত বেশি রাখতে পারব, তত ভালো হবে।”
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সেমি-ফাইনালে ভিএআরের ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক চলছে। একুয়েডরের রেফারি রদ্দি সামব্রানো ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনার দুটি পেনাল্টির দাবি ভিএআর দিয়ে যাচাই করে দেখেননি। তবে ভিএআর নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই গার্সিয়ার।
“আমি কোনো কিছু নিয়ে চিন্তিত নই। ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সবভাবেই আমরা রেফারিকে বিশ্বাস করি। অবশ্যই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ভিএআরের উন্নতি হবে।”
ব্রাজিলকে গোলহীন রাখা ভেনেজুয়েলা ও প্যারাগুয়ের কাছ থেকে কোনো পরামর্শও নিতে চান না পেরুর এই ৬১ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন কোচ।
“প্রত্যেককে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে আসতে হবে।”
চিলিকে উড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে প্রথম গোলটি করা ফরোয়ার্ড এদিসন ফ্লোরেস মনে করেন ফাইনাল ভিন্ন একটি ম্যাচ হবে। সেখানে কোনো ভূমিকা থাকবে না গ্রুপে পর্বের হারের।
“এটা আরেকটি ম্যাচ। বড় একটা ফাইনাল। আমরা শুধু আগামীকাল নিয়ে ভাবছি। এটি ভিন্ন একটি ম্যাচ হবে।”