সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সোমবার রাতে সরকারের নির্দেশে তিনবার মঞ্চ ভাঙা হয়। মাদরাসা মাঠে অনুমতি থাকলেও সমাবেশ করতে দিয়েছে সিলেটের রেজিস্ট্রার মাঠে। স্টেইজের জায়গা ছোট করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আর বেশীদিন নয় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সিলেট নগরীর রেজিস্টারি মাঠে বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অথিতির বক্তব্য মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জনবিরোধী সরকার। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা দেশের সমস্ত অর্জনগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। এই লুটেরা সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে না। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বেগম আপনারা যদি খালেদা জিয়ার মুক্তি চান তাহলে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হন।
ফখরুল বলেন, গতকাল রাত থেকে তিনবার মঞ্চ ভাঙা হয়েছে। তারপরও সিলেটের মানুষের সাহসিকতার ফলে এই জনসভা হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আজকে এই সভা করছি। এই সভা সফল করতে গতরাতে ১৬ জনকে বন্দি করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে সিলেটে ছাত্রদল একটি মিছিল করেছিল, সেই মিছিলে হাজার হাজার ছাত্ররা যোগ দিয়েছিল সেজন্য ভয় থেকে গতকাল সন্ধ্যায় হঠাৎ সমাবেশ করতে না দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। আসলে তারা জনগণকেই ভয় পায়। এই সরকার বৈধ সরকার নয় দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তারা আগের দিন রাতে ভোট চুরি-ডাকাতি করেছে। বন্দুকের জোরে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। সেই জন্য আমরা এই সরকারকে অবৈধ সরকার বলি। তিনি বলেন, এই সরকার সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। একটা গৃহপালিত বিরোধী দল বানিয়েছে। সরকার হা বললে হা বলে না বললে না বলে।
বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ দলীয় করণ করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থাকে তারা রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করছে। প্রশাসনকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করেছে। তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ন্যায় বিচার পায় না। তাঁকে সাজানো মামলায় প্রহসনের বিচারে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রেখেছে। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা এই দেশ থেকে লোপট করে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। এর কোন বিচার নেই। কারা করবে এই বিচার । সরকারের সকল পর্যায়ের লোক দুর্নীতি ও লুটপাটের সাথে জড়িত।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের প্রতিপক্ষ রাজনীতিক কোনো দল নয়, জনগণকে তারা প্রতিপক্ষ মনে করে। তাই বিগত নির্বাচনে এক জনেও ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, সরকারের ১২ বছর চোর, ডাকাত, জুয়াড়িদের ধরতে পারে না। এখন যখন ধরা পরেছে বলা হচ্ছে বিএনপির আমল থেকে তা চলছে। তাহলে ১২ বছর আপনারা কী করছিলেন। আপনাদের একজন তো বলেছে আপনারা আঙ্গুল চুসছিলেন।
‘এই সরকার সম্পর্ণভাবে ব্যর্থ সরকার। তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তারা দেশটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শাজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমুখ।