বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

অভাবীদের দরজায় খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির ‘মানবিক ইউএনও’

নিম্ন আয়ের এক অসহায় ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন ইউএনও

মনিরুল ইসলাম শামিম : মরনব্যাধী করোনার সংক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন প্রদক্ষেপ হাতে নিয়েছে সরকার। সরকারের এ সব নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে স্থানীয় প্রশাসন। তবে এসব নির্দেশনা পালনে একটু বেশি তৎপর ও আন্তরিকতা দেখা গেছে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদারকে। একজন নারী কর্মকর্তা হয়েও সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটে চলছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে ওপর প্রান্তে।

দোকানে মূল্যতালিকা সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করছেন ইউএনও

জনগণকে সচেতন করা, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের খোঁজ-খবর রাখছেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁর এসব কর্মকান্ডের কারণে ‘মানবিক ইউএনও’ হিসেবে আখ্যা পেয়েছেন হবিগঞ্জ জেলাবাসীর কাছে। উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে সব মহলে তিনি এখন ‘মানবিক’ এক নারী হিসেবে পরিচিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিদেশ ফেরত প্রবাসীর বাড়ি পরিদর্শন করছেন ইউএনও

অনেকের মতে, প্রশাসনিক অন্যান্য পুরুষ কর্মকর্তার চেয়ে নারী কর্মকর্তা হয়েও তাঁর কর্মকান্ড প্রশংসনীয় এবং দৃশ্যমান।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্নস্থানে ছুটে চলছেন তিনি। এছাড়াও সচেতনতার পাশাপাশি লোকজনের মাঝে মাক্সও বিতরণ করেছেন তিনি।

দরিদ্র মহিলার মুখে মাস্ক পড়িয়ে দিচ্ছেন ইউএনও

কোথাও কোন রকম আইনের ব্যত্যয় ঘটলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইন অমাণ্যকারীদের বিরুদ্ধে জরিমানাও করছেন তিনি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকানা খোলায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন। করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে অসাধু বিক্রেতারা অধিক লাভের আশায় দ্রব্যাদির দাম বাড়িয়ে নিয়েছেন। অসাধু ব্যবসায়িদের রুখতে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাজার নজরদারি করে জরিমানাও করে দোকানিদের সতর্ক করে চলছেন।

এক দরিদ্র মহিলার হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিচ্ছেন ইউএনও

এদিকে ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে হাট বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন বন্ধ রাখর ঘোষণা দেয় সরকার। এতে বিপাকে পড়ে নিম্ন আয়ের মানুষ। এদের কথা চিন্তা করে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন মানবিক এ কর্মকর্তা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ হাতে অসহায়দের মাঝে তুলে দিয়েছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী।

বাজারের ব্যবসায়ি ও ক্রেতাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ইউএনও’র প্রচার অভিযান

এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, হাট-বাজার বন্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি খেটে খাওয়া ও অসহায় মানুষগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের একজনের রোজগারে পুরো পরিবার চলতো। এখন তাদের উপার্জন বন্ধ। এ জন্য সরকারের বরাদ্দ থেকে সাধ্য অনুযায়ী আমি তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। এ সময় তিনি প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশনা মেনে চলে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com