শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
তরফ স্পোর্টস ডেস্ক : আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর অস্ট্রেলিয়া সফরের ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ। সিডনিতে দলের বাকিদের সঙ্গে কোয়ারেন্টিনে আছেন এই পেসার।
কিন্তু সেখানেই পেলেন জীবনের চরম খারাপ খবর। বাবাকে হারিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার ভারতীয় দলের কোচ রবী শাস্ত্রী ও অধিনায়ক বিরাট কোহলির কাছ থেকে বাবার মৃত্যু সংবাদ পান সিরাজ। কিন্তু দলের সঙ্গে জৈব সুরক্ষা বলয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকায় তার পক্ষে দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। ফলে বাবার দাফন-জানাজাতেও থাকতে পারলেন না তিনি।
অনেকদিন থেকেই সিরাজের বাবা মোহাম্মদ ঘাউস অসুস্থ ছিলেন। আইপিএলে সিরাজ যেদিন নজর কাড়া পারফর্ম করলেন, তার ঠিক একদিন আগেই ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
সদ্য সমাপ্ত আইপিএলের অন্যতম আবিষ্কার বলা হচ্ছে সিরাজকে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর এই পেসার বল হাতে দলকে বেশকিছু জয় এনে দিয়েছেন। বিরাটের আদরের ‘মিঞা’ এবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে এক ম্যাচে দুটি ওভার মেডেন দিয়েছিলেন, যা আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড। ওই পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তিনি।
ভারতের জাতীয় দলের হয়ে অবশ্য আরও আগেই অভিষেক হয়েছে সিরাজের। এরইমধ্যে ম্যান ইন ব্লুদের হয়ে ১টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আইপিএলে যেদিন কলকাতার বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করলেন সিরাজ, সেদিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তার বাবা বলেন, ‘সবাই বলছে, তোমার ছেলে খুব ভালো খেলছে। টেলিভিশন, পত্রিকায় সব জায়গায় তোমার না দেখে খুব ভালো লাগছে। ‘
সিরাজের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পূরণে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখেননি তার বাবা ঘাউস। অটোরিকশা চালিয়ে কষ্ট করে ছেলের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য ছেলের সাফল্য মন ভরে দেখে যেতে পারলেন না ৫৩ বছর বয়সী ঘাউস। বাবার মৃত্যুতে শোকাহত সিরাজ বলেন, ‘জীবনের সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হারালাম। আমাকে ভারতীয় দলে খেলতে দেখার স্বপ্ন ছিল বাবার। তিনি চাইতেন আমি যেন দেশকে গর্বিত করি। আমি তা অবশ্যই করে দেখাব। ‘