বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হবিগঞ্জ জেলা দলে সুযোগ পেয়েছে এস এস ফুটবল একাডেমীর ৫ খেলোয়াড় ঢাবি থেকে হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার আন্তর্জাতিক কিশোর ফুটবল আসরে সুযোগ পেয়েছে হবিগঞ্জের নাহিদ বাহুবলে টমটম চালক হত্যার ঘটনায় আরও ১ জন আটক বাহুবলে পাসের হার ৬১.৭০, সেরা আবারও ‘সানশাইন’ এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা জনি হত্যা মামলার আসামি রিমান্ডে, উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা বাহুবলে টমটম চালক হত্যার ঘটনায় মামলা, দুই আসামি কারাগারে ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল: নাহিদ ইসলাম অডিও ফাঁস- দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা: বিবিসির প্রতিবেদন

‘আমাদের সঙ্গে দাসীর মতো ব্যবহার করা হতো’

তরফ নিউজ ডেস্ক : ”আমাদের মুখ ঢেকে রাখতে হতো….রান্নাবান্না করতে হতো, যেন আমরা দাস। আমরা এটা চাই না, আমরা সত্যিকারের একটা জীবন চাই, আমাদের জীবন,” বলছেন ২৫ বছরের ওয়াফা, সর্বশেষ যে সৌদি নারী তার বোনের সঙ্গে সৌদি আরব থেকে পালিয়ে এসেছেন।
ওয়াফা এবং তার বড় বোন, ২৮ বছরের মাহা আল-সুবায়ি এখন জর্জিয়ায় রাষ্ট্রীয় একটি আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন।
টুইটারে জর্জিয়াসিস্টারস একাউন্ট থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছেন এই দুই সৌদি বোন।
তারা জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন, তাদের তৃতীয় কোন নিরাপদ দেশে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়।
সৌদি আরব থেকে তারা প্রথমে জর্জিয়ায় এসেছেন, কারণ এখানে আসতে সৌদিদের ভিসা লাগে না।
”আপনাদের সাহায্য দরকার, আমরা নিরাপত্তা চাই, আমরা এমন একটি দেশে যেতে চাই, যারা আমাদের গ্রহণ করবে এবং আমাদের অধিকার রক্ষা করবে,” বলছেন ওয়াফা।
তাদের দেখে বোঝা যায় যে, দুইজনেই মনঃকষ্টে এবং ভয়ে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে তাদেরকে জর্জিয়ার অভিবাসন দপ্তরে নিয়ে কর্মকর্তারা।
স্থানীয় গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে এই দুই বোন বলেছেন যে, তারা জর্জিয়াতে নিরাপদ বোধ করছেন না। কারণ এখানে সহজেই তাদের পুরুষ আত্মীয়রা খুঁজে বের করতে পারবেন।
”জর্জিয়া ছোট একটি দেশ এবং আমাদের পরিবারের যে কেউ এখানে আসতে পারে এবং আমাদের ধরে ফেলতে পারে,” আশংকা প্রকাশ করেছে ওয়াফা।
কিন্তু কেন তারা সৌদি আরবে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন?
এর জবাবে ওয়াফা বলছেন, ”কারণ আমরা নারী।”আমাদের দেশে আমাদের পরিবার প্রতিদিন আমাদের হুমকি দেয়।”
তার বোন মাহা জানিয়েছেন, এর প্রমাণও তাদের কাছে রয়েছে।
চরম রক্ষণশীল এই রাজতন্ত্রের দেশটি থেকে নারীদের পালিয়ে আসার সর্বশেষ উদাহরণ এই দুই বোন। দেশটিতে এখনো মেয়েদের কাজ করা বা ভ্রমণ করতে হলে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়।
এ বছরের জানুয়ারি মাসে সৌদি আরব থেকে পালিয়ে আসা ১৮ বছর বয়সী কিশোরী রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনান আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন যখন তিনি ফেরত পাঠানো ঠেকাতে থাইল্যান্ডের একটি হোটেলে নিজেকে আটকে টুইটারে সাহায্য চান।
তাকে আশ্রয় দিয়েছে কানাডা।
গত মার্চ মাসে সহিংসতা এবং দমন পীড়ন থেকে বাঁচতে সৌদি দুই বোন পালিয়ে যান এবং হংকংয়ে ছয়মাস লুকিয়ে থাকেন। পরে তারা মানবিক ভিসা পেয়েছেন।
”সৌদি আরবে নারীদের জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে পুরুষরা” বলেছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মধ্য প্রাচ্য বিষয়ক পরিচালক সারাহ লেহ হুইটসন।
তিনি বলছেন, ”জর্জিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার বোনদের অধিকারকে সম্মান জানাবে, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত এবং ভালো ব্যবস্থা। কিন্তু সৌদি আরবের নিয়মকানুনের কারণে নারীরা যে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, সেটার দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত। সেই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার সৌদি নারীদের অর্থবহ এবং কার্যকরী সহায়তা দেয়া প্রয়োজন।”

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com