শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন
তরফ স্পোর্টস ডেস্ক : রমজান মাসে বিশ্বকাপের খেলা পড়ে গেছে বাংলাদেশের। দলীয় দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে রোজা রেখে খেলে গেছেন দলের তিন তারকা মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আর ম্যাচ শেষে বিষয়টি জানা যায় অধিনায়ক মাশরাপি বিন মুর্তজার কথায়। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, ‘মুশি (মুশফিক), রিয়াদ (মাহমুদুল্লাহ) ও মিরাজকে নিয়ে আমি গর্বিত যে তারা রোজা রেখে ভালো খেলেছে।’
এবার বাংলাদেশ দলের খেলা পড়ে গেছে রমজান মাসে। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে শুরু করে বিশ্বকাপ- রোজার মধ্যেই খেলতে হয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ম্যাচগুলো খেলতেও হচ্ছে ইউরোপে, যেখানে রোজা থাকতে হয় ১৯ ঘণ্টার বেশি সময়। রোজা রেখে অনুশীলন, ম্যাচ খেলা শুধু কঠিন নয়, শারীরিকভাবে নিজেকে ফিট রাখাও ভীষণ কঠিন। কঠিন এ কাজটিই হাসিমুখে করে যাচ্ছেন মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ দলের সব খেলোয়াড়ই ধর্মচর্চার ব্যাপারে ভীষণ সচেতন এবং মনোযোগী।
খেলা না থাকলে নিয়মিতই রোজা করে গেছেন তারা। তবে খেলার দিন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন এমন ভাবনা থেকেই দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় রোজা রাখা থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ-মিরাজ ব্যতিক্রম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রোজা রেখেই খেলেছেন তারা।
রোজা রেখে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কেমন হলো, কাল ওভাল স্টেডিয়ামের মিক্সড জোনে সেটি জানালেন মিরাজ, ‘জানেনই, বিশ্বকাপের ম্যাচে অনেক চাপ থাকে। আল্লাহর অশেষ রহমত, রোজার দিনে এমন ম্যাচ খেলা ভাগ্যের ব্যাপার। এটা অনেক বড় অভিজ্ঞতা। ভালো লেগেছে, এমন দিনে জিততে পেরেছি। যখন নিয়ত করেছি রোজা থাকবো, আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। মাশরাফি ভাই বলছিলেন, আল্লাহর বরকত আছে আমাদের ওপর।’
লম্বা সময়ে রোজা রেখে ভীষণ চাপের ম্যাচ খেলা মোটেও সহজ কিছু নয়। মিরাজের অবশ্য খেলার সময় রোজার কথা মাথায় থাকে না! ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই অনুভূত হয় তিনি রোজা রেখেছেন। মিরাজ বলেন, ‘আজ (কাল) খেলার সময় রোজা মাথায় ছিল না। বোলিং-ব্যাটিং নিয়েই বেশি ভেবেছি। যখন খেলা শেষ হয়েছে, তখন একটু খারাপ অনুভব হয়েছে, মনে পড়েছে, আমি তো রোজা আছি!’