বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন

বাহুবলে সাড়ে ৩শ’ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকের মানবেতর জীবনযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশের ন্যায় বাহুবল উপজেলায় করোনা ভাইরাসেরর কারণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকারি ও এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এরই মধ্যে বেতনভাতা বৈশাখীভাতা ও আসন্ন ঈদ বোনাস পাচ্ছেন। এদিকে স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবার পরিজন নিয়ে উপজেলার প্রায় সাড়ে তিনশত শিক্ষক আজ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা আত্মসম্মানের কারণে কারো কাছে চাইতেও পারছেন না। আবার অন্য ৫ টি পরিবারের মতো নিজের পরিবারের ও ভরনপোষন দিতে পারছেননা।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। আবার টিউশনি করা ও বন্ধ। খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানান, জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পেলেও মার্চ এপ্রিল মাসের বেতন পাননি তারা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মালিক পক্ষকেও চাপ দিতে পারছেন না। অপর দিকে সরকারের ঘরে থাকার কারণে সকাল বিকাল কিছু টিউশনি ছিল তাও বন্ধ। কারো কাছে চাইতেও পারছেন না আবার বলতেও পারছেন না।

বাহুবল কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি নিরঞ্জন সাহা নিরু জানান, আমরা সরকার ও দেশকে সহযোগিতা করছি। জাতিকে শিক্ষিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছি। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষক কর্মচারীর বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছি। সরকার বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্নভাবে প্রনোদনা দিচ্ছে যদি আমাদের কিন্ডারগার্টেন সেক্টরের দিকে একটু নজর দিত তাহলে জাতি গঠনে যারা সহযোগিতা করছে তাদের উপকার হত।

তিনি অরোও বলেন আজ আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা করে আমাদের দাবী গুলো বলেছি তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।

বাহুবল আনন্দ নিকেতনের পরিচালক ও অধ্যক্ষ মোঃ জাবেদ আলী জানান, আমরা যারা কিন্ডারগার্টেন পরিচালনা করি তাদের মধ্যে অনেকেই টিউশন ফিঃ এর উপর নির্ভরশীল। স্কুল বন্ধ থাকার কারনে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বেতন নিতে পারছিনা। অপরদিকে শিক্ষক কর্মচারীর বেতন দিতে পারছি না। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

সৃজন জুনিয়র হাই স্কুলের পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম নুর জানান, আমরা যারা কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আজ আমরা অসহায়। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না। অপরদিকে অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার মখলিছুর রহমান জানান, আমি বিভিন্ন জায়গায় লেখা লেখি করেছি, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর আবেদন করেছি তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি তিনি আমাদের শিক্ষকদের জন্য কিছু করবেন।

এ ব্যাপরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগন্ধা তালুকদার বলেন, ব্যাক্তিগত ভাবে অনেক শিক্ষক আমার সাথে যোগাযোগ করে কিছু সরকারি সহযোগিতা নিয়েছেন। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয় স্যারের সাথে যোগাযোগ করে সবার জন্য কিছু করার চেষ্টা করব।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com