বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন
মো. জামাল হোসেন লিটন, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) :হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় উদ্যান সাতছড়ি ও রেমা কালেঙ্গাসহ ২৪টি চা বাগানবেষ্টিত। রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত তেলিয়াপাড়া বাংলো। ভারতঘেঁষা বিশাল সীমান্ত এলাকা। সাদা পদ্মের লেক। পরীর বিলসহ অসংখ্য ছোট বড় লেক। পর্যটনে বিশাল সম্ভাবনাময় এ উপজেলায় প্রাকৃতিক সোন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভীড় করেন। পর্যটকদের আনাগোনায় এ উপজেলা হয়ে উঠে পর্যটকের শহর।
এমন সম্ভবনা কাজে লাগিয়ে ইদানীং তরুণদের ফাস্ট ফুড ও মিনি চাইনিজ ব্যবসায় ঝুঁকে পড়েছিলেন। রাতারাতি তরুণরা একা বা বন্ধুরা মিলে চুনারুঘাটে একাধিক ফাস্ট ফুড বা মিনি চাইনিজ ব্যবসা খোলেন। চুনারুঘাটে গড়ে ওঠা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে অনেক তরুণ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। ব্যবসা ভালো চলছিল। হঠাৎ করে করোনা থামিয়ে দিল সব।
তরুণ উদ্যোক্তা চুনারুঘাটের সাদাত তালুকদার বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন হোটেলে খণ্ডকালীন চাকরি করেছেন। তখন থেকে স্বপ্ন দেখতেন জন্মভূমিতে হোটেল ব্যবসা করবেন এবং সেটা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। যেমন স্বপ্ন তেমন কাজ। জন্মস্থান চুনারুঘাট থেকে ফাস্টফুড ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নেন। নাম ঠিক করেন এক কাপ চা অ্যান্ড ফাস্ট ফুড। উদ্বোধন করেন ২৩ মার্চ। উদ্বোধনের পর লকডাউনে পড়ে যান। বন্ধ হয়ে যায় ব্যবসা। কভিড-১৯ থামিয়ে দেয় তার স্বপ্নযাত্রা।
চুনারুঘাটে সাদাত তালুকদারের মতো অনেক স্বপ্নবাজ তরুণ ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন থমকে গেছে। এখন স্টাফ বেতন, ঘরভাড়া, গ্যাস-বিদুৎ বিল ইত্যাদি নিয়ে চুনারুঘাটে শতাধিক তরুণ উদ্যোগী ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। তারা এ ব্যবসাগুলোকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের প্রণোদনা আশা করছেন।