রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
দিদার এলাহী সাজু, হবিগঞ্জ: কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাচ্ছে হবিগঞ্জের নিন্মাঞ্চল। ফলে পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন জেলার বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ, লাখাই ও মাধবপুর উপজেলার লাখো মানুষ।
এদিকে, হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের কালারডুবা বিকল্প সেতু, ইকরাম সুজাতপুর সড়ক ও আজমিরীগঞ্জ কাকাইলছেও সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ওইসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে, বন্যার পানি হাওরে বাড়তে থাকার কারণে ওই সব এলাকার অধিকাংশ পুকুরের মাছ ও ঘের ভেসে গেছে। এছাড়াও ঘর-বাড়িতে পানি উঠার কারণে বাড়ি ঘর ছেড়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকেই।
একদিকে করোনার মহামারি আর অন্যদিকে বন্যার পানি যেন নিন্ম আয়ের মানুষদের জন্য ‘মরার উপর খাড়ার ঘাঁ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ বানিয়াচঙ্গ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের হুমায়ুন আহমেদ জানান, বন্যার পানি রাস্তা ডুবে তাদের ঘরে প্রবেশ করেছে। যে কারণে ঘর-বাড়িসহ মালামালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও আরো অনেকেরই ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হলেও তারা এখনও পাননি কোন ত্রাণ সহযোগীতা।
একই গ্রামের রাসেল মিয়া জানান, বন্যার প্রথম দফায় তাদের বাড়িতে পানি না উঠলেও দ্বিতীয় দফায় শেষ রক্ষা হয়নি। তাই গবাদি পশুসহ মালামাল নিয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছেন তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যরা।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সরকার বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসার পানির কারণে হাওরের পানি বাড়ছে। যে কারণে জেলার বেশ কিছু নিন্মাঞ্চলের বাড়ি-ঘরে পানি উঠছে। তবে বৃষ্টি কমার সাথে সাথে হাওরের পানি নামতে শুরু করবে।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রণয়ন করে দ্রুত প্রতিটি উপজেলায় ত্রাণ সহযোগীতা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের মকা গ্রামসহ বেশ কিছু এলাকায় বন্যা কবলিতদের মধ্যে ত্রাণসহ জেলেদের জন্য লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।