শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

সিলেটে আজ থেকে পুরোদমে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটে আজ সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে ই-পাসপোর্ট পরিষেবা কার্যক্রম । এই পদ্ধতিতে আবেদনকারীরা সহজেই আবেদন করতে পারবেন এবং এতে তাঁদের সময় বাঁচবে ও ভোগান্তি  কমবে- এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা কার্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীদের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। পাসপোর্ট ও ভিসা কার্যালয়ে প্রতিদিন পাঁচ-সাতজনের ই-পাসপোর্টের আবেদন নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া স্বাভাবিকভাবেই চলছে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে ই-পাসপোর্ট পরিষেবা দেওয়ার জন্য  কার্যালয়ের সাত কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ই-পাসপোর্ট বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে একটি ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এবং অ্যান্টেনাসহ স্মার্টকার্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। পাসপোর্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিপে সংরক্ষণ করা হয়। ই-পাসপোর্টে যেসব বায়োমেট্রিক তথ্য নেয়া হয়, সেসব হলো ছবি, আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ও আইরিশ। ইলেকট্রনিক বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থা (ই-বর্ডার) দিয়ে পাসপোর্ট চিপের বাইরের বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর তুলনামূলক যাচাই করা হয়। তাই জালিয়াতি করা কঠিন।

সাধারণ পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্টের আছে কিছু বড় ধরনের পার্থক্য। এর মধ্যে একটি পার্থক্য হচ্ছে ই–পাসপোর্টে মুঠোফোনের সিমের মতো ছোট ও পাতলা আকারের চিপ থাকে। এতে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তাবৈশিষ্ট্য থাকবে, যার অনেক বৈশিষ্ট্য থাকে লুকানো অবস্থায়।

ই-পাসপোর্ট করার সময় মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) তথ্যভান্ডারে পাওয়া তথ্যগুলো ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে।

সাধারণ পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্টের আবেদনও অনলাইনে পাওয়া যাবে। আবেদনকারীরা চাইলে পিডিএফ ফরম নামিয়ে নিয়ে হাতেও পূরণ করতে পারবেন।

ফরম পূরণের সময় ছবি সত্যায়িত করা লাগবে না। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আবেদনপত্র গ্রহণের সময় আবেদনকারীর ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি নেওয়া হবে। সেসব তথ্য চিপে যুক্ত হবে।

ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশেষ যন্ত্রের সামনে পাসপোর্টের পাতাটি ধরতেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অতি জরুরি আবেদনকারীরা দুই দিনের মধ্যেও ই-পাসপোর্ট পেতে পারেন। তবে এর জন্য লাগবে বাড়তি ফি। এর জন্য ২ দিনে সরবরাহ পেতে ৮ হাজার ৬২৫ টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া সাধারণ ৫ বছর মেয়াদি ২১ দিনের নিয়মিত সরবরাহ ৪ হাজার ২৫ টাকা, ১০ দিনের দ্রুত সরবরাহ ৬ হাজার ৩২৫ টাকা, ৪৮ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদি ২১ দিন সরবরাহ ৫ হাজার ৭৫০ টাকা, ১০ দিনের সরবরাহ ৮ হাজার ৫০ টাকা এবং ২ দিনের সরবরাহ ১০ হাজার ৩৫০ টাকা। ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি ২১ দিনে সরবরাহ ৬ হাজার ৩২৫, ১০ দিনের সরবরাহ ৮ হাজার ৬২৫, ২ দিনের সরবরাহ ১২ হাজার ৭৫ টাকা, ৬৪ পৃষ্ঠা ১০ বছর মেয়াদি ২১ দিনের সরবরাহ ৮ হাজার ৫০, ১০ দিনের সরবরাহ ১০ হাজার ৩৫০, ২ দিনে সরবরাহ পেতে ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।

সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা জানান, ই-পাসপোর্টের জন্য আলাদা কাউন্টার করা হবে। প্রতিদিন কতজন ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন, তা আমরা আগের দিন জানতে পারবো। ফলে আমাদেরও সুবিধা হবে। অন্যদিকে আবেদনকারীদের ই-মেইলে শিডিউল দেওয়া হবে। এতে তাঁদেরও ভোগান্তি কমবে। এতে আবেদকারীদের সময় বাঁচবে এবং তাঁরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো থেকে মুক্তি পাবেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com