বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নবিগঞ্জে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে ভয়াবহ আগুন, ১০ গাড়ি ভস্মীভূত একাদশে ভর্তি : প্রথম ধাপের ফলে কলেজবঞ্চিত ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী চুনারুঘাট সীমান্তে আটক ৩ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দিল বিএসএফ চুনারুঘাটে পৃথক অভিযানে ৫৬ কেজি গাঁজাসহ চারজন আটক ক্ষমতায় গেলে পাঁচ বছরে ২৫ কোটি গাছ লাগাবে বিএনপি: তারেক রহমান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার: সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাত্রদল নেতা হামিমের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই ভোটের কর্মপরিকল্পনার খসড়া চূড়ান্ত করবে ইসি জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম চুনারুঘাটে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ স্বামী পলাতক, দুই নারী আটক

শ্রীমঙ্গলে বেড়েছে প্লাস্টিক গ্লাসের ব্যবহার! নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ

শফিকুল ইসলাম রুম্মন, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রার্দভাবের ফলে বেড়েছে প্লাস্টিকের গ্লাসের ব্যবহার৷ আর ফেলা হচ্ছে যত্রতত্রভাবে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ৷ সরেজমিনে দেখা যায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বেড়েছে প্লাস্টিকের গ্লাস ও প্লেটের ব্যবহার৷ করোনার শুরু থেকে সংক্রমণ প্রতিরোধে শহরসহ গ্রামাঞ্চলের মানুষ ব্যবহার শুরু করে প্লাস্টিকের গ্লাস ও প্লেট৷ শহরের হোটেল, মোটেল, রেস্তোরা, চায়ের দোকানে এখন ব্যবহার হচ্ছে ওয়ান টাইম পাত্র গুলো৷ কিন্তু দেখা যায় ব্যবহার শেষে সেগুলো ফেলা হচ্ছে পাশের ড্রেন, ডোবা কিংবা রাস্তার পাশে৷ ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ৷

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতারা এখন ওয়ান টাইম পাত্র ছাড়া খাচ্ছেন না৷ বিশেষ করে চায়ের দোকানগুলোতে বেশীর ভাগই ওয়ান টাইম গ্লাসে চা বিক্রি হচ্ছে৷ দোকানদারদের খরচ অতিরিক্ত হলেও অতি মুনাফায় বিক্রি করছেন চা৷ আগে শ্রীমঙ্গলে এক কাপ চায়ের দাম ছিল ৫টাকা আর এখন ৬ থেকে ১২টাকা৷ আবার অনেক দোকানদার ৫ টাকায়ও বিক্রি করছেন৷ তবে পাত্রগুলো ফেলার সঠিক স্থান না থাকায় যত্রতত্র ফেলতে হচ্ছে তাদের৷ শহরের মৌলভীবাজার রোডের চা ব্যবসায়ী অমৃত বণিক বলেন, করোনা শুরুর পর থেকে ওয়ান টাইম গ্লাস ব্যবহার বেড়েছে৷ আগে চা কাপে দিতাম, এখন অনেকেই কাপে চা খাচ্ছেন না৷ বাধ্য হয়ে ওয়ান টাইম গ্লাস ব্যবহার করতে হচ্ছে৷ বাস সেন্ডের এক চা দোকানী বলেন, ওয়ান টাইম ব্যবহারের পর ক্রেতারা যেখানে সেখানে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছেন৷ ফেলার নির্ধারিত জায়গা থাকলেও তা ব্যবহার করছেন না ক্রেতারা ৷

এদিকে ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজ্বী কামাল হোসেন বলেন, চায়ের রাজধানী ও পর্যটন নগরী ও সৌন্দর্যের লীলা ভূমি শ্রীমঙ্গল৷ বিশ্বের নানা দেশের মানুষ এখানে আসেন শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে৷ বিশেষ করে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, হাইল হাওররের মতো অপরুপ সোন্দর্য দর্শন করেন৷ বাহির থেকে আসা পর্যটকরা অনেক সময় খাবার হোটেল থেকে ওয়ান টাইম পাত্রে নিয়ে আসেন৷ তাদের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের গ্লাস, প্লেইট জঙ্গলের ভিতরে ও হাওর পাড়ে পড়ে থাকে এসব পাত্র যা পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ৷ এ ধরনের পাত্র ব্যবহারের কারণে দূষন হচ্ছে পরিবেশ৷ সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করা হলে এ গুলো জমে পরিবেশের উপর মারাত্নক প্রভাব পড়বে৷ যদি পরিবেশবাদী, সামাজিক সংগঠন গুলো এগিয়ে না আসে তাহলে আগামী বিশ বছর পর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান হবে সমতল আর হাইল হাওর ভরে যাবে লাউয়াছড়ার মাটিতে৷ এ ক্ষেত্রে প্রশাসন, পৌরসভা ও গ্রামাঞ্চলের বাজার কমিটির ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন৷

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ওয়ান টাইম গ্লাস ও প্লেইট ব্যবহার উপকারি হলেও তার ব্যবস্থাপনা সঠিক না হওয়ার কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে৷ আমরা অবৈধ পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য বিপনন কারীদের বিরুদ্ধে ভাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আসছি ৷ ফুটপাত ও লোকাল চায়ের দোকান গুলোতে বিশেষ অভিযান চলবে৷

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com