শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি : সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের টগবগে এক তরুণ তালুকদার মোঃ মকছুদ। পড়া লেখায় যেমন মেধাবী তেমনি ক্রীড়াঙ্গনেও বেশ নাম। স্কুল জীবনেই তার সাধনা ছিল খেলাধুলা নিয়ে। তৎকালীন হাইস্কুলের গন্ডি পেরিয়ে ভর্তি হন হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজে। তারণ্যের চঞ্চলতায় ভরে উঠে তার মন। কলেজ জীবন তাকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে দেয় ক্রীড়াঙ্গনের দিকে।
তৎকালীন বাহুবল থানার সাতপাড়িয়া (বড় বাড়ি)’র এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই ক্রীড়াবিদ। তার পিতা হলেন মরহুম তালুকদার মোঃ আব্দুল কদ্দুস। তিনিও ছিলেন এলাকার একজন বিখ্যাত খেলোয়াড়। তালুকদার মকছুদ তার পিতার আদলেই ক্রীড়াঙ্গনে খুব সহজেই নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হন অল্প সময়ের মধ্যে। তিনি ফুটবল খেলা ছাড়াও লং ঝাম্প, হাই ঝাম্প, একশ মিটার রান- ২ শ মিটার রান সহ প্রভৃতি খেলায় পারদর্শিতার সাক্ষর রাখেন কৃতিত্বতার সাথে।
ক্রীড়াঙ্গনে কৃতিত্বতার জন্য বৃন্দাবন কলেজ ফুটবল টিমের অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এর স্বকৃীতি স্বরুপ ১৯৮০-৮১ ইং তাকে হবিগঞ্জ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও মহকুমা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুস সাত্তার এবং ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মহফিল উদ্দিন তালুকদার এডভোকেট স্বাক্ষরিত প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়। একইভাবে ১৯৮২-৮৩ ইং ৪০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হিসাবে তালুকদার মকছুদকে হবিগঞ্জ মহকুমা প্রশাসক ও ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি একেএম দেলোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মহফিল উদ্দিন তালুকদার এডভোকেট সাক্ষরিত প্রশংসাপত্র প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এভাবে তৎকালীন সিলেট জেলা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন খেলায় অংশ গ্রহন করে বিজয়ী হিসাবে অসংখ্য সনদ অর্জন করেছেন তালুকদার মোঃ মকছুদ। তিনি জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়াঙ্গনে এমন কৃতিত্বের সনদ অর্জন করলেও তাকে আজও দেওয়া হয়নি সরকারি কোন স্বীকৃতি বা যথাযথ মূল্যায়ন।
তিনি আশান্বিত হয়ে এ প্রতিবেদককে জানান, তার জীবনের সাফল্যের ওই সময়ের এই তথ্যটুকু প্রকাশ হলে হয়ত বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্রীড়ামোদী কর্তৃপক্ষ তার প্রতি সুনজর দিবেন। তালুকদার মোঃ মকছুদ বর্তমানে বাহুবল উপজেলা সদরে ইসলামাবাদ আবাসিক এলাকায় সপরিবারে বসবাস করছেন। বর্তমানে তিনি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগে ভোগছেন।