রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৫ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে নির্বাচনী সহিংসতায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে প্রতিপক্ষের হামলা, পুলিশের গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে রাজশাহীর মোহনপুর ও গোদাগাড়ীতে আওয়ামী লীগের ২ কর্মী, নাটোরের নলডাঙায় আওয়ামী লীগ কর্মী, রাঙ্গামাটিতে যুবলীগ কর্মী, কক্সবাজারের পেকুয়ায় নৌকার সমর্থক, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও চান্দিনায় বিএনপির ২ কর্মী, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জাতীয় পার্টির কর্মী, পটিয়ায় ছাত্রসেনা ও যুবলীগ কর্মী, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিএনপির এক কর্মী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক যুবক, বগুড়ার কাহালুতে আওয়ামী লীগ কর্মী, নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ কর্মী, সিলেটের বালাগঞ্জে ছাত্রদল নেতা, লক্ষ্মীপুরের দত্তপাড়ায় এক যুবক, গাজীপুরে আওয়ামী লীগ কর্মী, নোয়াখালীতে আনসার সদস্য, যশোরে বিএনপির কর্মী, লালমনিরহাটে এক যুবক এবং সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ভোটের আগের রাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সিলেট: সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সোহেল পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছুড়লে তিনি মারা যান। তবে-পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি ছুড়ার বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন- বালাগঞ্জ উপজেলার আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ভোট গ্রহণের বাকি মাত্র ১০ মিনিট। এমন সময় কেন্দ্র দখল নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকরা। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে কেন্দ্রের ভেতর পর্যন্ত এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিএনপির সমর্থকরা কেন্দ্রের ভেতরে থাকা একটি ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হন অন্তত দুই জন। এর মধ্যে উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহেলও ছিলেন। ঘটনার পরপরই গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ৭ আসনে কেন্দ্র দখল, হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছে। পুলিশসহ আহত হয়েছে শতাধিক। সকাল ১১টার পর থেকে এসব ঘটনা ঘটে। আসনগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া, চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী, চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী, চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম-৬ রাউজান এবং চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি।
পটিয়ায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় ছাদেক (৩৫) নামে বিএনপির এক কর্মী নিহত হয়। এ ঘটনায় আরো ১০-১২ জন বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ৯টায় পটিয়া পৌরসভায় দীন মোহাম্মদ (৩৯) নামে যুবলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাতারিয়া এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় জাতীয় পার্টির কর্মী আহমেদ কবির (২৯)। এ সময় ৫ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন জানান, জাতীয় পার্টির কর্মী আহমেদ কবির ও তার কয়েকজন সহযোগী কাতারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি বুথ দখল করার চেস্টা করলে পুলিশ তাকে গুলি করে। এতে তার মৃত্যু হয়।
কুমিল্লা: কুমিল্লা-৭ চান্দিনা আসনে পুলিশের গুলিতে এলডিপি কর্মী মজিবুর রহমান (৩৫) নিহত হয়েছে। অপর দিকে কুমিল্লা-১০ নাঙ্গলকোট আসনে ইউনিয়ন বিএনপির ওয়ার্ড শাখার সহসভাপতি বাচ্চু মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এছাড়াও জেলার চান্দিনা, বরুড়া, দাউদকান্দি ও নাঙ্গলকোটে ৫ সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে চান্দিনা পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডে পশ্চিম বেলাশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ-এলডিপির নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে মজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। নিহত মুজিব মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের সুজাত আলীর ছেলে। এ সময় ফারুক মিয়া (৩৮) ও রাহাদ (২৪) নামের ২ জন গুলিবিদ্ধসহ ৮/১০ জন আহত হয়েছে। নিহত মুজিব এলডিপির কর্মী বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব ও ওই আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ড. রেদোয়ান আহমেদ। চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু ফয়সাল জানান, বিএনপি ও এলডিপির নেতাকর্মীরা বেলাশ্বর কেন্দ্রে প্রবেশ করে কেন্দ্রে হামলা করে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের উপর হামলা করে। তখন পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে কুমিল্লা-১০ আসনের নাঙ্গলকোট উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের মুরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই ইউনিয়ন বিএনপির ৭নং ওয়ার্ড শাখার সহসভাপতি বাচ্চু মিয়াকে (৫৫) ছাত্রলীগ কর্মীরা হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এছাড়াও বরুড়া আড্ডা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পুলিশ-আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ত্রিমুখী সংঘর্ষে শাহাদত, দিদার, নুরুজ্জামান ও আক্তার নামের ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অপর দিকে কুমিল্লা-১ দাউদকান্দি আসনের উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে আরও ৮/১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদানের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি আসনে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। এতে একজন নিহত এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর নির্বাচনী এলাকার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক সহিংস ঘটনায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়। নিহতের নাম ইসরাইল (১৯)। সে রাজঘর গ্রামের সায়েদুল ইসলামের পুত্র। পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন নিহত ইসরাইল। তার দলীয় পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়াও আরো ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয় এ ঘটনায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল সকাল পৌনে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের মহাজোট প্রার্থী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ওই ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এ সময় তার গাড়িতে হামলা হয়। পেছনের কাঁচ ভেঙ্গে ফেলা হয়। এতে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিপেটা ও গুলি করে। এতে ইসরাইলসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ইসরাইলকে মৃত ঘোষণা করে।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার হাট ঘোরজানে পুলিশের ধাক্কায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত লাভলু মিয়া (৪৫) মৃত আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। চৌহালী উপজেলার ঘোরজান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী সরকার জানান, রোববার সকালে লাভলু মিয়া হাট ঘোরজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে হঠাৎ বিশৃঙ্খলা হয়। তখন দায়িত্বরত পুলিশ তাকে সজোরে ধাক্কা দিলে আতঙ্ককৃত হয়ে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে মারা যায়। বর্তমানে তার লাশ বাড়িতে রয়েছে। এদিকে চৌহালী থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
বগুড়া: নির্বাচনী সহিংসতায় বগুড়ার কাহালুতে আজিজুল হক নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছে। উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের বাগইল সারকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে আজিজুল নিহত হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষে বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়।
দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা ওই ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে ধানের শীষের ভোটারদের কক্ষে প্রবেশ করতেও বাধা দিলে উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে আওয়ামী লীগ কর্মী আজিজুল নিহত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে জানান, যশোর-৪ বাঘারপাড়া অভয়নগর নির্বাচনী এলাকার অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের পাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী এজেন্ট শামসুর রহমান মোল্যা (৭৫) মারা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তিনি ধানের শীষ প্রতীকের পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য ওই কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা তাকে আটকে মারপিট করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি পৌঁছে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দুপুর ১০টার দিকে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরের কাজী আজিমউদ্দিন কলেজের সাবেক ভিপি আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের ছোট ভাই এরশাদ হোসেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। গতকাল দুপুর পৌনে ৩টার দিকে মহানগরির হাড়িনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থক উত্তেজিত যুবকরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং জেলা শহরের কয়েকটি স্থানে ভাঙচুর চালায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার ওসি সমীর সূত্র ধর জানান, তার মৃত্যুর ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে কারা তার ওপর হামলা করেছে এবং হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে বের করা হবে।
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের বড়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের পাশে দুর্বৃত্তদের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়। নিহত যুবকের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভোট কেন্দ্রের পেছনের ডোবা থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নরসিংদী: নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের কুন্দারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের এজেন্ট মিলন মিয়া (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। সে বাঘাব ইউনিয়নের কুন্দারপাড়া গ্রামে হজরত আলীর পুত্র। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গায় ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি সমর্থক ভাতিজা রতন আহমেদের ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগ কর্মী চাচা হোসেন আলীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে উপজেলার সমস খলসি দিয়ারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত হোসনে আলী একই এলাকার অছিমুদ্দনের ছেলে। এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সমস খলসি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষে ভোট দেয় বিএনপি সমর্থক রতন আহমেদ ও তার স্ত্রী। পরে আওয়ামী লীগ কর্মী চাচা হোসেন আলী ভাতিজা রতন আহমেদকে চড়থাপ্পড় মারে। পরে ভাতিজা রতন ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি গিয়ে ধারালো ছোরা নিয়ে এসে চাচা হোসেন আলীর পেটে আঘাত করে। এ সময় হোসেন আলীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তবে পুলিশ ও বিএনপির দাবি পারিবারিক বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে।
রাজশাহী: রাজশাহীতে সহিংসতার ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মেরাজুল ইসলাম (২২) নামে এক ব্যক্তি এবং রাজশাহী-১ আসনের তানোরে মোদাচ্ছের আলী (৪০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে মেরাজুলকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দু’পক্ষ নিজ দলের কর্মী দাবি করছেন। এ ছাড়া রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি প্রার্থী আবু হেনা।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক খান বলেন, মোহনপুরে বিএনপির কর্মীরা আওয়ামী লীগের ওই কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। আহত ব্যক্তিদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
রাজশাহী-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন জানান, মেরাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। কেন্দ্র দখল করতে না পেরে বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা তাকে কেন্দ্রের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনও নিহত ব্যক্তিকে তাদের দলীয় কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন।