রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
তরফ স্পোর্টস ডেস্ক : জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যেত শীর্ষ চারে থাকা। প্লে অফের দুয়ারে এসে প্রথমবার হোঁচট খেল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। অপ্রতিরোধ্য ছুটতে থাকা দলটিকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে বেক্সিমকো ঢাকা পেল হ্যাটট্রিক জয়
মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ইনিংসের পর বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ম্যাচে ঢাকার জয় ৭ রানে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রোববার ২০ ওভারে ঢাকা তোলে ১৪৫ রান। দলের অর্ধেকের বেশি রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। শুরুর বিপর্যয়ের পর ঢাকা অধিনায়ক খেলেন ৫০ বলে ৭৩ রানের ইনিংস। রান তাড়ায় চট্টগ্রাম থমকে যায় ১৩৮ রানে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকা দ্বিতীয় ওভারে হারায় ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখকে। বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের টানা দুই বলে ছক্কা ও চার মারার পর আউট হয়ে যান তিনি ওই ওভারেই।
তিনে নেমে রানের দেখা পাননি আরেক বাঁহাতি তানজিদ হাসান। একাদশে ফেরা সাব্বির রহমানকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে ঢাকা সফল হতে পারেনি বাজিতে। ব্যাটের কানায় লেগে একটি চার পাওয়ার পর সাব্বির ফেরেন ১০ বলে ৭ রান করে।
পঞ্চম ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে ঢাকা।
মুশফিক ও ইয়াসির আলি চৌধুরি এখান থেকে টেনে নেন দলকে। খুব গতিময় না হলেও একটা জুটি গড়ে তুলতে পারেন তারা। ৭২ বলে ৮৬ রান যোগ করেন দুজন। ৩৮ বলে ৩৪ রান করে ইয়াসিরের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।
মুশফিক ফিফটি স্পর্শ করেন ৪১ বলে। টি-টেয়েন্টিতে যেটি তার ২৫তম ফিফটি। শেষ দিকে রান বাড়ানোর কাজটিও করেন তিনিই। ইনিংসের শেষ বলেও তার ব্যাট থেকে আসে বাউন্ডারি। অধিনায়কের ৭ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংসে দল পায় লড়ার মতো রান।
রান তাড়ায় চট্টগ্রাম প্রথম ওভারে হারায় সৌম্য সরকারকে। যদিও রিভিউ নিলে বেঁচে যেতেন তিনি। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, রুবেল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হওয়া বলটি পিচ করেছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে।
সেই ধাক্কা চট্টগ্রাম অনেকটাই সামাল দেয় পরের দুই জুটিতে। মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে লিটন দাসের জুটিতে আসে ৪৭, মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে লিটনের জুটিতে ৪৮।