রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বদলে যাচ্ছে সিলেট নগরীর রাতের দৃশ্যপট। সোলার আর ননসোলার এলইডি সড়কবাতিতে আলোকিত হয়ে উঠছে রাতের সিলেট। সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এসব সোলার-ননসোলার সড়কবাতি লাগানো হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন সড়কে।
বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবহার ও নিরবচ্ছিন্ন আলো সরবরাহের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
সৌর শক্তি ব্যবহার করায় বিদ্যুৎ না থাকলেও রাতের অন্ধকারে ডুবে যাবে না নগরী। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ‘স্মার্ট কন্ট্রোল সিস্টেম ইন সিটি করপোরেশন’ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সড়কে সোলার-ননসোলার সড়কবাতি স্থাপন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ১৪ কোটি টাকা।
গত জুন মাস থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ শেষ হবে শিগগিরই। প্রকল্পের আওতায় সিলেট নগরীর হাউজিং এস্টেট থেকে কুমারগাঁও, শাহী ঈদগাহ থেকে টিলাগড় এবং গাজী বোরহান উদ্দিন মাজার হয়ে শাহজালাল ব্রিজ, শিবগঞ্জ পয়েন্ট থেকে শাহজালাল উপশহরের এ ও ই ব্লক, ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে পারাইরচক, হুমায়ুন রশীদ চত্ব¡র থেকে চণ্ডিপুল, কাজীরবাজার ব্রিজ থেকে বঙ্গবীর রোড পর্যন্ত সড়কে এক হাজার ১৪৩টি এলইডি সড়কবাতি বসানো হচ্ছে।
স্মার্টফোনে সিমকার্ডের মাধ্যমে এসব সড়কবাতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যার ফলে নির্ধারিত সময়ে এসব বাতি জ্বলবে ও নিভবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিটি এলইডি বাতিতে থাকবে লাইট কন্ট্রোল ইউনিট (এলসিইউ)। এলসিইউ যুক্ত হবে ডেটা কন্ট্রোল ইউনিটের (ডিসিইউ) সঙ্গে। ৪০ থেকে ৬০টি এলসিইউ মিলিয়ে হবে একটি ডিসিইউ। প্রতিটি ডিসিইউ’র জন্য থাকবে একটি সিমকার্ড। এতে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে নগর ভবনে স্থাপন করা মূল সার্ভার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সব সড়কবাতি।
সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ শাখার সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস বলেন, স্মার্টফোনের মাধ্যমে এসব সড়কবাতি জ্বালানো ও নেভানো যাবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে স্মার্টফোনে সড়কবাতি নিয়ন্ত্রণ শুরু হবে।
সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. রুহুল আলম বলেন, নতুন এলইডি বাতির পরিচালনা ব্যবস্থা টাইমার (সময়) নির্ভর। সময় হলেই বাতি জ্বলবে এবং নিভবে। প্রকল্পের ‘স্মার্ট লাইটিং কন্ট্রোলের’ মাধ্যমে প্রয়োজনে বাতির আলো কমানোও যাবে।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, নগরীতে মানুষের চলাচলে যাতে ভোগান্তি পোহাতে না হয়, সে জন্য এলইডি বাতিতে আলোকিত করা হচ্ছে। এর ফলে অন্ধকার দূর হবে, কমবে অপরাধ। সৌর শক্তি কাজে লাগানোয় কমবে বিদ্যুৎ খরচও।