বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা পেলেন দামী গাড়ি

তরফ নিউজ ডেস্ক : উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি প্রদান করেছে সরকার। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ৮৮ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিয়েছেন।

সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ’র থ্রিডি অডিটোরিয়ামে উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর র্শীষক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের (৩য় পর্যায়ে) আওতায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

সরকারি এসব গাড়ি প্রযুক্তি স্থানান্তরের কাজে ব্যবহারের জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।

পর্যায়ক্রমে সব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি প্রদান করা হবেও বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব সরকার বলেই দেশ শুধু খাদ্যে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে তা বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা করছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্ন কৃষি উপকরণের দাম কয়েক গুণ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে শিল্পায়নের ফলে কৃষি শ্রমিক দিনে দিনে কমে যাচ্ছে । এ জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অপরিহার্য। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকার ৫০ থেকে ৭০ভাগ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে থাকে, কৃষি ও কৃষকের প্রয়োজনে যা যা করা দরকার সব করা হবে। সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।

তিনি বলেন, কৃষিতে প্রণোদনা বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে, বাকি ৩ হাজার কোটি টাকা কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ব্যবহৃত হবে।

আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ আমরা খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ। এখন আমরা পুষ্টির দিকে নজর দিয়েছি।

ধানের দামের বিষয় উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান করা হবে। কৃষিকে আধুনিকায়ন, যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষির সব সমস্যা দূর করা হবে।আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যা যা উল্লেখ রয়েছে তা সব বাস্তবায়ন করা হবে।

২০১৮-২০২২ মেয়াদি প্রকল্পটি ৩শ’ ১৫ কোটি টাকার। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৮টি জেলার ১০৬টি উপজেলায় ১০৬টি কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ২০ ইউনিয়নে কৃষক সেবা কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পূর্ণ হলে কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ও ফসলের উৎপাদশীলতা বৃদ্ধি পাবে বলে জানান হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com